Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeScrollতড়িৎ-চৌম্বক তেজস্ক্রিয়তা কী, মানুষের কোন কাজে লাগে?

তড়িৎ-চৌম্বক তেজস্ক্রিয়তা কী, মানুষের কোন কাজে লাগে?

আমাদের নিত্যদিনের জীবনের সঙ্গে প্রবলভাবে জড়িয়ে রয়েছে চোখে দেখা না যাওয়া এই শক্তি

Follow Us :

কলকাতা: ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন (Electromagnetic Radiation), বাংলায় তড়িৎ-চৌম্বক তেজস্ক্রিয়তা। দুই ভাষাতেই শব্দবন্ধটি বেশ জটিল। অথচ আমাদের নিত্যদিনের জীবনের সঙ্গে প্রবলভাবে জড়িয়ে রয়েছে চোখে দেখা না যাওয়া এই শক্তি। এই প্রতিবেদনে আলোচনা করা যাক তড়িৎ-চুম্বকীয় তেজস্ক্রিয়তা আসলে কী, এর উৎস কোথায়, মানব জীবনে তার ব্যবহারিক প্রয়োগ কী তা নিয়ে।

তড়িৎ-চৌম্বক তেজস্ক্রিয়তার গঠিত হয় তড়িৎ এবং চৌম্বক তরঙ্গ দিয়ে। দুই ধরনের তরঙ্গ একে অপরের সঙ্গে উলম্বভাবে জড়াজড়ি করে থাকে। এই তরঙ্গ তৈরি হয় ইলেকট্রনের মতো চার্জড পার্টিকলের গতি বৃদ্ধি পেলে। তরঙ্গদৈর্ঘ্য (Wavelength) এবং কম্পাঙ্কের (Frequency) পার্থক্য অনুযায়ী এর তেজস্ক্রিয়তা এবং শক্তি বদলে যায়।

আরও পড়ুন: ডার্ক এনার্জির গবেষণায় নয়া সাফল্য

নানা ধরনের তড়িৎ-চৌম্বক তেজস্ক্রিয়তা হতে পারে। যেমন—

১) রেডিও ওয়েভ: রেডিও ওয়েভের তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবথেকে বেশি। এএম, এফএম রেডিও, টিভি এবং নানা ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যবহৃত হয় তা।

২) মাইক্রোওয়েভ: মাইক্রোওয়েভের তরঙ্গদৈর্ঘ্য ছোট। রান্নাঘরের মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ওয়াইফাইয়ের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার।

৩) ইনফ্রারেড রেডিয়েশন: এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য দৃশ্যমান আলোর থেকে বেশি। সূর্য কিংবা ফায়ারপ্লেস থেকে যে উত্তাপ আমরা অনুভব করি তাই হল ইনফ্রারেড রেডিয়েশন।

৪) দৃশ্যমান আলো: চারপাশে আমরা যেসব রং দেখতে পাই তাও আসলে তড়িৎ-চৌম্বক তরঙ্গ। তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কম-বেশি অনুসারে আলাদা আলাদা রং হয়। যেমন লাল রংয়ের তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবথেকে বেশি এবং সবথেকে কম বেগুনি রংয়ের।

৫) আল্ট্রা-ভায়োলেট রেডিয়েশন: ইউ-ভি রেডিয়েশনের তরঙ্গদৈর্ঘ্য দৃশ্যমান আলোর থেকে ছোট। মানব দেহের ত্বকে ক্ষতিকর প্রভা ফেলে তা। স্টেরিলাইজেশন এবং চিকিৎসা বিদ্যায় এর ব্যবহার।

৬) এক্স-রে: চিকিৎসায় এক্স-রে বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়। এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য আরও কম। এই তরঙ্গ নরম কলাতন্ত্র ভেদ করতে পারে কিন্তু হাড় ভেদ করতে পারে না।

৭) গামা-রে: সবথেকে ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের তড়িৎ-চুম্বকীয় তেজস্ক্রিয়তা হল গামা রশ্মি। নিউক্লিয়ার রিয়্যাকশনের সময় এটি নির্গত হয়, একেও কাজে লাগানো হয় চিকিৎসার কাজে।

তড়িৎ-চুম্বকীয় তেজস্ক্রিয়তার উৎস কী?

উৎস একাধিক। যেমন একা সূর্য থেকেই দৃশ্যমান আলো, ইনফ্রা রেড, আল্ট্রা-ভায়োলেট রশ্মি নির্গত হয়। এছাড়া অন্যান্য তারা, আকাশের বিদ্যুৎ, এমনকী আমাদের পৃথিবীও তড়িৎ-চুম্বকীয় তেজস্ক্রিয়তা ছাড়ে।

ব্যবহার:

চিকিৎসা শাস্ত্রে (এক্স রে, এমআরআই) তড়িৎ-চুম্বকীয় তেজস্ক্রিয়তার বড় অবদান রয়েছে। যোগাযোগের ক্ষেত্রেও রয়েছে। যেমন রেডিও ওয়েভ কাজে লাগে ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথ যোগাযোগে। তাছাড়া রান্নাঘরের খাবার গরম করার যন্ত্র কাজ করে এই শক্তির সাহায্যেই।

দেখুন অন্য খবর:

 

RELATED ARTICLES

Most Popular