কলকাতা: বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) ফলক বিতর্কে ফের মুখ খুললেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। বুধবার রাজভবনে এক অনুষ্ঠানের ফাঁকে রাজ্যপাল (Governor) বলেন, রবীন্দ্রনাথকে এভাবে মুছে ফেলা যায় না। তিনি বিশ্বভারতীর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমি উপাচার্য (Vice Chancellor) বিদ্যুত চক্রবর্তীকে (Bidyut Chakrabarty) চিঠি দিয়েছি। দেখা যাক কী হয়। এর আগেও রাজ্যপাল বিশ্বভারতীর উপাচার্যের সমালোচনা করেছিলেন। তখনই তিনি চিঠি দিয়ে উপাচার্যকে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার পরামর্শ দেন। জবাবে উপাচার্য জানান, ওই ফলকের বিষয়টি দেখভাল করছে পুরাতত্ত্ব বিভাগ। ফলক তারাই তৈরি করেছে।
ইউনেসকো বিশ্বভারতীকে যে হেরিটেজ স্বীকৃতি দিয়েছে, তার প্রেক্ষিতে সেখানে একটি ফলক বসানো হয়েছে। ওই ফলকে নাম রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উপাচার্যের। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের নাম সেখানে অনুপস্থিত। তাকে ঘিরেই দেশ জুড়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। ডান, বাম নির্বিশেষে সব রাজনৈতিক দল এই ঘটনার নিন্দা করেছে। বলতে গেলে এই ইস্যুতে তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি সবাই উপাচার্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত কয়েক দিনে তাঁর এক্স হ্যান্ডলে একাধিকবার উপাচার্যকে ফলকে রবীন্দ্রনাথের নাম বসানোর অনুরোধ করেছেন। তাঁর নির্দেশেই গত ছয়দিন ধরে শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের ছবি বুকে নিয়ে তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রীরা অবস্থান চালাচ্ছেন। সেই অবস্থান মঞ্চ থেকে তৃণমূলের তাবড় নেতারা উপাচার্যকে নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছেন। কেউ বলছেন, দিদি অনুমতি দিলে উপাচার্যকে আমরা বীরভূমছাড়া করে দিতে পারি। আবার কেউ বলছেন, বাড়ি থেকে বার করে দেব উপাচার্যকে।
আরও পড়ুন: চালকের অবসরে তাঁকে গাড়ি চালিয়ে পৌঁছে দিলেন মেট্রোর জিএম
এবার উপাচার্যের পাশে নেই বিজেপিও। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রবীন্দ্রনাথ বাঙালির আবেগ। তাঁকে নিয়ে কোনও আপস নয়। উপাচার্য ইগো ছেড়ে ফলকে রবীন্দ্রনাথের নাম তুলুন। একই কথা বলেছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই আবহে ফের মুখ খুলে এদিন রাজ্যপাল বুঝিয়ে দিলেন, উপাচার্যকে অত সহজে ছাড়া হবে না।
আরও খবর দেখুন