ইম্ফল: অশান্ত মণিপুর (Manipru)। জিরিবামে (Jiribum) নিখোঁজ তিনজনের দেহ উদ্ধারের পর পরই ফের অগ্নিগর্ভ মণিপুর। প্রতিবাদীরা আজ ইম্ফলের (Imphal) দুই জন মন্ত্রী সহ তিন জন বিধায়কের বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, পরিবেশ উত্তপ্ত হতে থাকায় ইম্ফল প্রশাসন অনির্দিষ্ট কালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
আগামী দুদিনের জন্য ইম্ফল (পূর্ব-পশ্চিম), বিষ্ণুপুর, থৌবা , কাঙ্গো, কাকচিং, কংপোকপি এবং চুরাচাঁদপুরে ইন্টারনেট ব্যবস্থা বন্ধ রাখা হয়েছে। জারি কারফিউ।
শুক্রবার রাতে জিরিবামের ৬ জন নিখোঁজের মধ্যে তিনজনের দেহ উদ্ধার হয় জিরি ও বরাক নদীর মধ্যবর্তীস্থলে মণিপুর অসম সীমান্তের কাছে। সকালে একটি সূত্র জানায় এদের মধ্যে দুজনের দেহ শিশু ও একজন মহিলা। দেহগুলিতে পচন ধরেছিল।
আরও পড়ুন:কসবা কাণ্ডে পুলিশকে তোপ ‘এনাফ ইজ এনাফ’
সম্প্রতি কুকি জঙ্গিরা ৬ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। জিরিবামের বোকোবেরা এলাকার সন্দেহভাজন কুকি বিদ্রোহীদের একটি দল মহিলা ও শিশুদের আটকে রেখেছিল, অন্যদিকে সেইসময় বিদ্রোহীদের আরেকটি দল সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) সঙ্গে গুলি বিনিময়ে লিপ্ত ছিল। ঘটনায় দশজন কুকি জঙ্গি নিহত হয় বলে খবর।
আজ সকালে তিনজনের দেহ উদ্ধার হয়। দেহগুলি বিকৃত হয়ে গিয়েছিল। তার পরেই ফের নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। নিহতদের বিচারের দাবিতে স্লোগান তোলে প্রতিবাদীরা।
একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, লাম্ফেল সানাকিথেল এলাকায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী সাপম রঞ্জনের বাসভবনে এক জনতা হামলা চালায়। ইম্ফল পশ্চিম জেলার সাগোলবন্দ এলাকায় আন্দোলনকারীরা বিজেপি বিধায়ক আর কে ইমোর বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছিল, যিনি মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের জামাতাও। “সরকারের কাছ থেকে যথাযথ প্রতিক্রিয়া” দাবি করে স্লোগান দিতে থাকে তারা। তিন ব্যক্তিকে হত্যা এবং কর্তৃপক্ষকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় তারা।
প্রতিবাদকারীরা, যারা কেশমথং আসনের স্বতন্ত্র বিধায়ক সাপম নিশিকান্ত সিংয়ের সঙ্গে তিদ্দিম রোডের বাসভবনে দেখা করতে এসেছিলেন। কিন্তু বিধায়ক রাজ্যে উপস্থিত নেই বলে জানানোর পরে তার মালিকানাধীন একটি স্থানীয় পত্রিকার অফিস ভবনে হামলা চালায়।
দেখুন অন্য খবর: