কলকাতা: আমি পদত্যাগ করতে রাজি আছি। কিন্তু আশা করি, মানুষ বুঝেছেন, ওরা বিচার চায় না, চেয়ার চায়। জুনিয়র জাক্তারদের সঙ্গেই বৈঠক না হওয়ার পর বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আলোচনার জন্য বিকেলে নবান্নে যায় জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্ত তাদের দাবি ছিল ৩০ জন প্রতিনিধিদল ও বৈঠক লাইভ স্ট্রিমিং করা। কিন্ত নবান্ন থেকে জানানো হয় লাইভ স্ট্রিমিং হবে না। তারপর স্বাস্থ্য ভবনের ধরনা মঞ্চে ফিরে যান চিকিৎসকরা। মমতা জানালেন, দু’ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তিনি নবান্নের সভাঘরে অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকেরা বৈঠকে আসেননি।
মমতা বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, সময় পেরিয়ে গিয়েছে। আশা করেছিলাম, ছোটরা এসে কথা বলবে। আমি এটাকে ঔদ্ধত্য হিসাবে দেখছি না। তিনি আরও বলেন, আমাকে অনেক অসম্মান করা হয়েছে। অনেক ভুল বোঝাবুঝি, কুৎসা হয়েছে। আমি মানুষের স্বার্থে পদত্যাগ করতে রাজি আছি। আমার মুখ্যমন্ত্রীর পদ চাই না। আমি চাই তিলোত্তমার বিচার পাক। কিন্তু আশা করি, মানুষ বুঝেছেন, ওরা বিচার চায় না। চেয়ার চায়।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য ভবনের ধরনায় ফিরছেন ডাক্তাররা
মমতা আরও বলেন, একবার ওদের নিয়ে লাইভ স্ট্রিমিং করেছিলাম। তখন সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছিল না। সিবিআই-এর হাতে কেস ছিল না। আমরা রেকর্ডিং-এর কথা বলেছিলাম, স্বচ্ছতার জন্য। তিনটি ভিডিও ক্যামেরা রেখেছিলাম। সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়ে সেটা প্রকাশ করতে পারতাম। ধৈর্য ধরাটাও একটা পরীক্ষা। এতদিন ধরে ধৈর্য ধরেছি আমরা। তাও বলব কাজে যোগ দিন। ওদের মধ্যে অনেকে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন। দু-তিনটি গ্রুপ চাননি।
দেখুন ভিডিও