নদিয়া: রাজ্যজুড়ে হকার উচ্ছেদে (Hawker’s Eviction) নেমেছে পুলিশ প্রশাসন। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভে নেমেছে হকাররা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বেআইনি ফুটপাত দখলমুক্ত করতে একেবারে অ্যাক্টিভ মুডে পুলিশ প্রশাসন থেকে পুরসভা। সেরকমই নদীয়ার শান্তিপুর পুরসভাও (Santipur Minucipality ) এবার বেআইনি হকার উচ্ছেদের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে। কিছুদিন আগেই পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে ফুটপাতে বেআইনিভাবে দখল করে রাখা হকারদের উঠে যেতে হবে। হকার উচ্ছেদ প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের উপর ক্ষোভ উগ্রে তারা বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্ত গরিব মানুষের পেটে লাথি মারার মতো কাজ। এবার বাটি হাতে রাস্তায় ঘুরতে হবে।
শান্তিপুর পুরসভার একাধিক জায়গায় ফুটপাতের উপর দোকান দিয়ে ব্যবসা করে হকাররা। সমস্ত হকারদের অনুরোধ করেছে সেই জায়গা ছেড়ে দিতে। পুরসভার ৫০ মিটার মধ্যে যে সমস্ত হকাররা বেআইনিভাবে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করছেন, তাদের কেউ উঠে যেতে নির্দেশ দিয়েছে শান্তিপুর পুরসভা। তাই পুরসভার নির্দেশকে মান্যতা দিয়েই এবার নিজের শেষ সম্বল টুকু গুছিয়ে নিয়ে কোথায় ব্যবসা করবেন সেই চিন্তায় দিশাহারা হচ্ছেন হকার। শনিবার শান্তিপুর পুরসভার নির্দেশ মেনে শান্তিপুর পৌরসভার সন্নিকটে,ডাকঘর বাসস্ট্যান্ডে বেশ কিছু দোকান ব্যবসায়ীরা সরিয়ে নিলেন। তারা জানাচ্ছেন পুরসভা নির্দেশ দিয়েছে সেই মতো তারা দোকান সরিয়ে নিলেন। নিজের রুজি রোজগারের একমাত্র পথকে সুরক্ষিত করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া। কারণ পুরসভা যদি এই সমস্ত দোকান ভেঙে দেয় বা নিয়ে চলে যায় তাহলে সংসারের দু মুঠো অন্য জোগাড় করার আর সম্ভব হবে না। তাই আগে থেকেই তাদের দোকান সরিয়ে নিচ্ছেন তারা।
আরও পড়ুন: এখনও সঙ্কটজনক মুকুল রায়
এ বিষয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দেগেছেন হকাররা । তারা জানাচ্ছেন গরিবের পেটে লাথি মারছে সরকার। এই সিদ্ধান্ত খুব খারাপ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে পুনর্বাসন সম্পর্কে জানতে গেলে হকাররা জানান, যাদের ট্রেড লাইসেন্স আছে তারা পুনর্বাসন পাবে,এমনটাই জানিয়েছে পুরসভা। তবে যাদের ট্রেড লাইসেন্স নেই তারা কি করবে? “রাস্তায় বাটি হাতেই ঘুরতে হবে”।
অন্য খবর দেখুন