নয়া দিল্লি: সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। অভিযুক্ত ওই গ্রামের এক পাহারাদার। ২০২৩ সালের ঘটনায় সাজা শোনাল আদালত।
জানা গেছে, এক সাত বছরের শিশুর সঙ্গে নারকীয় ঘটনা ঘটায় অভিযুক্ত। প্রথমে শিশুটিকে ধর্ষণ পরে প্রমাণ লোপাট করতে খুন করা হয়। শিশুটিকে পুকুরে ডুবিয়ে মারার চেষ্টা করা হয়। পরে সেটি ব্যর্থ হলে মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়। কাজ শেষ করে দেহ মাঠে রেখে পালিয়ে যায় সে। এই ঘটনায় পকসো আদালতে মামলা দায়ের হয়। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হয় অভিযুক্ত। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে দোষীকে মৃত্যুদণ্ড দিলেন বিচারক। সেইসঙ্গে ১.২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। এই নির্ধারিত মূল্য নিহতের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: দিল্লি বিজেপিতে ধাক্কা, তিনবারের বিধায়কের আপ-যোগ
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৩০ ডিসেম্বরের ঘটনা। আগ্রার এত্মাদপুরের বাড়ির বাইরে খেলা করছিল ওই সাত বছরের শিশু। তখন তাকে ভুলিয়ে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। সে গ্রামে পাহারাদারের কাজ করত। শিশুটিকে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায় সে। তার পর সেখানেই শিশুটির উপর পাশবিক অত্যাচার চালায়। ধর্ষণের তথ্য লোপাট করতে শিশুটিকে খুন করে সে। গ্রামবাসীরা অনেক খোঁজাখুঁজির পর মাঠ থেকে শিশুর দেহ খুঁজে পায়।
ঘটনার তদন্ত শুরু হয় এসিপি সুকন্যা শর্মার নেতৃত্বে। এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া চুলের সঙ্গে অভিযুক্তের ডিএনএ মিলে যায়। পকসো আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। সাক্ষ্য এবং প্রমাণগুলি পর্যবেক্ষণ করে বিচারক তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুনানি চলাকালীন অভিযুক্তের হয়ে আদালতে কেউ হাজির ছিলেন না। এমনকী জেলেও তার সঙ্গে কেউ সাক্ষাৎ করতে আসেনি। বিচারকের রায়ে খুশি মৃতার পরিবার।
দেখুন আরও খবর: