ঢাকা: বাংলাদেশের (Bangladesh) বিজয় দিবসে মহম্মদ ইউনুসকে (Mohammed Yunus) তীব্র আক্রমণ করলেন দেশের প্রাক্তন প্রশানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। তিনি নোবেলজয়ী ইউনুসকে সরাসরি ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে কটাক্ষ করলেন। বিজয় দিবসের সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে হাসিনা বলেন, এই অসাংবিধানিক দল গোপনে বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক দলকে প্রশ্রয় দিচ্ছে এবং তাঁদের উদ্দেশ্য হল বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সমস্ত চিহ্ন মুছে ফেলা। পাশাপাশি, এদিন তাঁর বিবৃতিতে হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতার নেপথ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান সম্পর্কে বলেন। পাকিস্তানি আর্মির বিরুদ্ধে তাঁদের নির্ভিক লড়াই এবং সংগ্রামের উল্লেখ করে তিনি ইউনুস সরকারকে নিশানা করেন।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বিবৃতি
—আগামীকাল ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। বাংলাদেশের বিজয়ের ৫৩ বছর পূর্তি হবে। দিনটি বাঙালি জাতির এক অনন্য গৌরবোজ্জ্বল দিন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর… pic.twitter.com/4xMEjATUF1
— Awami League (@albd1971) December 15, 2024
বিজয় দিবস উপলক্ষে এদিন আওয়ামি লিগের (Awami League) তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করা হয়। সেই পোস্টে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের নেপথ্য ঘটনাবলীকে তুলে ধরা হয়। সেখানে লেখা ছিল, “বিজয় দিবস উপলক্ষে আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা, ত্রিশ লাখ শহিদ, সম্ভ্রমহারা দুই লাখ মা-বোন এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাঁদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি সেইসব দেশ ও ব্যক্তিবর্গের প্রতি যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে নানাভাবে সহায়তা করেছেন।”
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন কবে? জানিয়ে দিলেন ইউনুস
এদিকে ইউনুসকে কেন ‘ফ্যাসিস্ট’ বলা হয়েছে, তাও এই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। হাসিনা এই বিবৃতির মাধ্যমে বলেন, “দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশবিরোধী গোষ্ঠী অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে। ফ্যাসিস্ট ইউনুসের নেতৃত্বে অগণতান্ত্রিক এই গোষ্ঠীর জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তারা ক্ষমতা দখল করে সকল জনকল্যাণমুখী কাজকে বাধাগ্রস্ত করছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় ছিল দেশের প্রায় ৫ কোটি মানুষ। তাঁদের বিভিন্ন ভাতা প্রদান করা হত। অধিকাংশ ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। টিসিবির আওতায় ৪৩ লক্ষ পরিবারের ফ্যামিলি কার্ড বাতিল করা হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কষাঘাতে জর্জরিত দেশের মানুষ।”
দেখুন আরও খবর: