কোচবিহার: রাতের অন্ধকারে তৃণমূল নেতা ভেবে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে, তুফানগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের মহিষকুচি দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতরে টাকোয়ামারি গ্রামে। অভিযোগের তীরে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। যদিও তৃণমূলের তোলা সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
জানা যাচ্ছে, তৃণমূল নেতা ভেবে তৃণমূল নেতার আত্মীয়কে প্রাণে মারতে চেয়েছিল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তবে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান ওই তৃণমূল নেতার আত্মীয়। ঘটনার খবর সামনে আসার পরই, রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বক্সিরহাট থানার পুলিশ। ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকা জুড়ে।
আরও পড়ুন : স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে এবার আরও কড়াকড়ি রাজ্যের
তৃণমূলের অভিযোগ, গত লোকসভা ভোটে মহিষকুচি -২ গ্রাম পঞ্চায়েতে ভালো ফল করেছে তৃণমূল। সাংগঠনিক শক্তি দুর্বল করতেই তৃণমূল নেতা ভেবে তার আত্মীয়র উপর গুলি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, মহিষকুচি -২ তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির চেয়ারম্যান তথা তুফানগঞ্জ-২ ব্লক তৃণমূল সভানেত্রী চৈতি বর্মন বড়ুয়ার ছেলে নিহার বড়ুয়া দলীয় কাজকর্মের উদ্দেশ্যে সপ্তাহের বেশিরভাগ সময়ে টাকোয়ামারি গ্রামে নিজের ক্রেসার মিলেই থাকতেন তিনি। অভিযোগ, বুধবার রাতে দলীয় সাংগঠনিক কাজ সেরে কোচবিহারের বাড়িতে ফেরেন নিহার বড়ুয়া।
আর তারপরই, বুধবার রাতেই সাড়ে বারোটা নাগাদ আচমকা ওই ক্রেসার মিলের ঘরের দরজা সাবল দিয়ে ভাঙ্গা হয়। সেই সময়ে ওই ঘরে শুয়ে ছিলেন নিহার বড়ুয়া ভাগ্নে। আর তৃণমূল নেতা ভেবেই গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। কোনক্রমে জানালা দিয়ে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন সে। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় তা সিমেন্টের দেয়ালে গিয়ে লাগে। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বক্সিরহাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
এ ব্যাপারে নিহার বড়ুয়া বলেন, বেশিরভাগ সময় ঘরে রাতে থাকেন তিনি।গতকাল সন্ধ্যায় দলীয় কাজকর্ম সেরে কোচবিহারের বাড়িতে ফিরেছিলেন। রাতে খবর পান বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওই ঘরের দরজা ভেঙে তাকে ভেবে বিছানায় শুয়ে থাকা আমার ভাগ্নেকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। যদিও অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পায় সে।
দেখুন অন্য খবর