মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: ছোটবেলায় চাঁদের বুড়ির গল্প আমরা কমবেশি সকলেই শুনেছি। সেই সব গল্প শুনেই আমরা কল্পনার জগতে ভেসে যেতাম। আর চাঁদের বুকে বাড়ি তৈরি করে সেখানে বসবাস করার স্বপ্ন দেখতাম। কিন্তু শৈশবের এই সব স্বপ্ন কারও ক্ষেত্রে কোনদিন পূরণ হয়নি। কারণ, চাঁদে না আছে জল, না আছে অক্সিজেন; তাহলে সেখানে বাড়ি তৈরি কিভাবে সম্ভব? কিন্তু ২০২৬ সালে এইসব কল্পনাকে হয়ত আর অলীক বলা যাবেনা। কারণ, এবার সত্যিই চাঁদের বুকে বাড়ি তৈরি হতে চলেছে। নেপথ্যে, সেই ইলন মাস্ক। যে মানুষটা অসম্ভবকে সম্ভব করতে পটু, তিনিই এবার এই অসাধ্যসাধন কাজের দায়িত্ব নিয়েছেন। তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন স্পেসএক্স সম্প্রতি হিউম্যান ল্যান্ডিং সিস্টেম স্টারশিপ তৈরির কাজে হাত দিয়েছেন। এই স্টারশিপই আদতে চাঁদের বাড়ি হতে চলেছে। চলুন, এই স্টারশিপ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন: শনির উপগ্রহে লুকিয়ে রয়েছে এলিয়েনরা! বরফ খুঁড়লেই মিলবে তাঁদের সন্ধান
স্পেসএক্স-এর হিউম্যান ল্যান্ডিং সিস্টেম স্টারশিপ হল একটি অত্যাধুনিক অবতরণকারী যান, যা নাসা-র আর্টেমিস প্রকল্পের অধীনে নির্মিত হয়েছে। এটি মানব অভিযানের জন্য চন্দ্রপৃষ্ঠে একটি স্থায়ী অবস্থান তৈরি করার উদ্দেশ্যে ডিজাইন করা হয়েছে। এই স্টারশিপের নকশায় দুই-তলা বিশিষ্ট একটি কাঠামো রয়েছে। এতে মহাকাশচারীদের জন্য পর্যাপ্ত বাসস্থান, খাবার এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা রয়েছে। নকশাটির প্রথম তলায় প্রয়োজনীয় লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম এবং দ্বিতীয় তলায় মহাকাশচারীদের বসবাসের জায়গা তৈরি করা হয়েছে। দ্বিতীয় তলায় টাচস্ক্রিন কন্ট্রোল সিস্টেমও রয়েছে, যা মহাকাশচারীদের চাঁদে অবতরণ ও উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করবে।
এছাড়া হিউম্যান ল্যান্ডিং সিস্টেমে চন্দ্রপৃষ্ঠের ধুলো আটকানোর জন্য একটি বিশেষ এয়ারলক ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছে। মহাকাশচারীদের নিরাপদে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ ও উঠে আসার জন্য একটি ক্রু-লিফট রয়েছে। এছাড়াও, র্যাপটর ইঞ্জিন ব্যবহারের মাধ্যমে এটিতে একটি সুরক্ষিত প্রপালশন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই স্টারশিপ নাসা এবং স্পেসএক্স-এর যৌথ উদ্যগে পরীক্ষা এবং উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে চন্দ্র মিশনের ধারাবাহিকতায় এই স্টারশিপ মানবজাতির প্রথম মঙ্গল গ্রহ অভিযানেও সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
দেখুন আরও খবর: