নয়াদিল্লি: ৫১ তম প্রধান বিচারপতির পদে শপথ নিলেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না (Justice Sanjeev Khanna)। স্থলাভিষিক্ত পূর্বসূরী প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের চেয়ারে। রাষ্ট্রপতি ভবনে (Rashtrapati Bhavan) সোমবার বিচারপতি খান্নাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু(President Draupadi Murmu)। প্রধান বিচারপতি পদে তাঁর মেয়াদ প্রায় সাত মাস। ২০২৫ সালের ১৩ মে পর্যন্ত।
২০১৯ সালের ১৮ জানুয়ারি দিল্লি হাইকোর্ট থেকে তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে উন্নীত।
২০১৯ সালে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার সংবাদের ভিত্তিতে তাঁর নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা চালু করে।
আরও পড়ুন:ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন নিয়ে উদ্বেগে নেই ভারত, স্পষ্ট বার্তা জয়শঙ্করের
প্রধান বিচারপতির অফিসও তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতায় পড়ে। সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের তরফে রায়টি লিখেছিলেন বিচারপতি খান্না। ঘৃণা ভাষণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অমিশ দেবগন বনাম ভারত সরকারের মামলাতেও তাঁর রায় উল্লেখনীয় হয়ে রয়েছে।
সেন্ট্রাল ভিস্টা প্রকল্পে প্রয়োজনীয় নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি। তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দুজন অন্য মত পেশ করলেও তিনি এমনই রায় দেন। আবার যে বিবাহিত সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের অসাধ্য অবস্থায় পৌঁছেছে, সেই সম্পর্ক সংবিধানের আর্টিকেল ১৪২ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করতে পারে। দৃষ্টান্তমূলক এই রায়ের লেখনী বিচারপতি খান্নার।
রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর বেশ কিছু মামলার মোকাবিলা করেছেন বিচারপতি খান্না। যার মধ্যে অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মনীশ সিসোদিয়া, সঞ্জয় সিং ইত্যাদি রয়েছেন। আবার ইভিএম-ভিভিপ্যাট মামলাও তিনি সামলেছেন। যেখানে ১০০ শতাংশ ভিভিপ্যাট ভেরিফিকেশনের আবেদন নাকচ করা হয়।
আর্টিকেল ৩৭০ সংক্রান্ত বিতর্কের ফয়সালা করা সাংবিধানিক বেঞ্চ এবং ইলেক্টোরাল বন্ড মামলাতেও তিনি ছিলেন অন্যতম বিচারপতি।