নয়াদিল্লি: একজন ছাড়া, দিল্লি (Delhi) আবগারি নীতি কেলেঙ্কারিতে সবাই জামিন (Bail) পেয়ে গেলেন। মামলাগুলির দ্রুত শুনানি ও নিষ্পত্তি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। মূলত এই প্রেক্ষাপটে ধৃতদের বন্দি থাকার মেয়াদ বিবেচনা করে আদালত জামিন দিয়েছে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে সিবিআই ও ই’ডির তদন্তের স্বচ্ছতা এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করেছে আদালত।
এই কেলেঙ্কারি সূত্রে ধৃতদের মধ্যে জামিন পেয়েছেন যথাক্রমে অভিষেক বোয়িনপল্লী (হায়দ্রাবাদের ব্যবসায়ী), সঞ্জয় সিং (আম আদমি পার্টির সংসদ সদস্য), মণীশ সিসোদিয়া (দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী), কে কবিতা (বিআরএস নেত্রী), বিজয় নায়ার ( আপের প্রাক্তন কমিউনিকেশনস-ইন-চার্জ), রাঘব মাগুন্তা(সাংসদ শ্রীনিবাসালু রেড্ডির পুত্র), শরৎচন্দ্র রেড্ডি (অরবিন্দ ফারমার ডিরেক্টর) এবং অরবিন্দ কেজরিওয়াল (দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী)। একমাত্র এই কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত আমনদীপ ধল এখনও হেফাজতে আছেন।
আরও পড়ুন: রোগীকে এমার্জেন্সি থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিলেন ডাক্তার?
প্রসঙ্গত এই কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত আরও অনেকেই নিম্ন আদালত ও হাইকোর্ট থেকেও জামিন পেয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে দিল্লি আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি পরিপ্রেক্ষিতে সিবিআই প্রথম এফআইআর দাখিল করে। এই নীতির মাধ্যমে মদ প্রস্তুতকারকদের কাছ থেকে আম আদমি পার্টি নেতৃত্ব বেআইনি রোজগার করেছে। এই অভিযোগসূত্রে পরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আলাদাভাবে অভিযোগ নথিবদ্ধ করে।
অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন নিম্ন আদালত ও হাইকোর্টগুলিতে বারংবার খারিজ হলেও সুপ্রিম কোর্ট একেবারেই অন্য বার্তা দিয়েছে। জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ আইনগুলিতে কঠোর বিধিনিষেধ থাকলেও ‘জামিন পাওয়াটাই নিয়ম, বন্দি রাখা ব্যতিক্রম’ এই নীতির উপরে জোর দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও খবর দেখুন