নদীর চর দখল করে গেস্ট হাউস, স্থানীয় প্রশাসন নির্বিকার

বসিরহাট: নবান্নের (Nabanna) নির্দেশ অমান্য করে ডাসা নদীর চর দখল করে গেস্ট হাউস তৈরির অভিযোগ। এমনকী এই বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনও নির্বিকার বলে অভিযোগ। পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapore) মন্দারমনি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) গোসাবায় বেআইনি বিল্ডিং ভাঙার নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও এই ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ।

উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদ ব্লকের মাখালগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতের আবাদকুলিয়াডাঙা এলাকায় ডাসা নদীর চর দখল করে দক্ষিণে হাওয়া নামে গেস্ট হাউস তৈরি করা হয়েছে। অভিযোগ, ওই নির্মাণের জন্য প্রচুর ম্যানগ্রোভ নিধন করা হয়েছে। কী করে নদীর চর দখল করে দীর্ঘ এক বছর ধরে কংক্রিটের গেস্টহাউস হল আর প্রশাসন দেখতে পেল না, তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠল। এই নিয়ে গেস্ট হাউসের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, প্রশাসন সব জানে তারপরে ক্ষমতা বলে এই গেস্ট হাউস করেছে। ডাসা নদীর চরে জমির উপর ঝাঁ চকচকে একতালা কংক্রিটের বিলাসবহুল বিল্ডিং তৈরি হয়েছে। তা নিয়ে প্রতিবাদ করেছেন সমাজের বিশিষ্ট জনেরা। তাঁরা বলেছেন, যেভাবে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে, নদী নাব্যতা হারাচ্ছে তাতে আগামী দিনের বিপদের মুখে পড়তে হবে আমাদের এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের। আমরা চাই, প্রশাসন হস্তক্ষেপ করুক। দক্ষিণ ২৪পরগনার গোসাবা, পশ্চিম মেদিনীপুরের মন্দারমনি সহ একাধিক বেআইনি জমির উপর হোটেল ভাঙার নির্দেশ রয়েছে। উত্তর চব্বিশ পরগনার হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আমিরুল ইসলাম বলেন,আমি ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরকে বিষয়টা জানাবো। কাগজপত্র দেখব। যদি বেআইনি কাজ হয়ে থাকে তাহলে প্রশাসন হস্তক্ষেপ করবে অন্যায় কাজ বরদাস্ত করা যাবে না।

আরও পড়ুন: বাস্তবের কুরুক্ষেত্র! জমি বিবাদের জেরে যে ঘটনা ঘটল

দেখুন অন্য খবর: