কলকাতা: দোলপূর্ণিমার (Dol Purnima) দিন যেখানে সর্বত্র রাধাকৃষ্ণের (Radha Krishna) পূজা হয়, সেখানে শ্রীরামপুরের (Srirampur) পঞ্চানন তলায় মহিষাসুরমর্দিনীর (Mahishasuramardini) আরাধনা চলে 221 বছর ধরে। এই বিশেষ পূজার সূচনা করেছিলেন দে পরিবারের দুই সদস্য, পুলিনবিহারী দে (Pulin Bihari Dey) ও নগেন্দ্রনাথ দে (Nagendra Nath Dey), যাঁরা স্বপ্নাদেশ পেয়ে 1212 বঙ্গাব্দে এই রীতি শুরু করেন। দুর্গাপূজার (Durga Puja) মতো নির্দিষ্ট তিথিতে নয়, এখানে দোলপূর্ণিমাতেই (Dol Purnima) দেবীর আরাধনা হয়, যা বাংলার অন্যত্র বিরল।
তন্ত্র মতে মহিষাসুরমর্দিনীর (Mahishasuramardini) পূজার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। একসময় এখানে মোষ ও ছাগল বলি দেওয়া হতো, যদিও কালের প্রবাহে সেই প্রথা বন্ধ হয়েছে। তবে নবমীর দিন এখনো মাছের ভোগ দেওয়া হয়। দেবীর দুই পাশে কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতীর পরিবর্তে থাকেন তাঁর দুই সখী, জয়া ও বিজয়া। সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত চলে পূজা, অষ্টমীতে মহাভোগ ও নবমীতে মৎস্য ভোগের আয়োজন হয়।
আরও পড়ুন: রঙিন চমক গুগল সার্চে
1970 সাল থেকে এই পূজার দায়িত্ব নিয়েছে স্থানীয় শ্রীরামপুর টাউন ক্লাব । অষ্টমীর দিন কয়েক হাজার মানুষের ভোগ বিতরণ করা হয়, তাই ওই ক’দিন পাড়ার কোনো বাড়িতেই রান্না হয় না। দোলের দিন দেবীর চরণে আবির নিবেদন করে শুরু হয় উৎসব, এরপর প্রভাতফেরির মধ্য দিয়ে চলে আবির খেলা ।
পুরোহিত ত্যাগীনাথ অঘোর পি জানিয়েছেন, কালিকাপুরাণ অনুসারে এই পূজা চলে আসছে। বলি প্রথা না থাকলেও তন্ত্র মতে এখানে দেবীর পূজা সম্পন্ন হয়। পূর্ণিমা থেকে প্রতিপদ পর্যন্ত তিন দিন ধরে চলে দেবীর আরাধনা, যা 221 বছর ধরে একই নিয়মে পালিত হয়ে আসছে।
দেখুন আরও খবর: