দক্ষিণ ২৪ পরগনা: অ্যাম্বুল্যান্স মালিকরা (Ambulance Owner) টাকা পাননি। সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও সুরাহা হয়নি। এবার তারা পরিষেবা (Service) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন। যার জেরে নাস্তানাবুদ হতে হল রোগী ও তাঁদের পরিবারকে। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালের।
বুধবার সকাল থেকেই সরকারি হাসপাতালে বন্ধ অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা। অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে বাড়িতেই সন্তান প্রসব করলেন প্রসূতি। গত আট মাস ধরে বকেয়া রয়েছে নিশ্চয়যানের বিল। বকেয়া চেয়ে বারে বারে ব্লক মেডিক্যাল হেল্থ অফিসার, জেলাশাসককে জানিয়েও সুরাহা হয়নি। যার জেরে এদিন সকাল থেকে রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালের সরকারি অ্যাম্বুলেন্স নিশ্চয়যান পরিষেবা বন্ধ করে দিলেন মালিকরা।
আরও পড়ুন: লোকসভা ভোট কি এপ্রিল-মে মাসেই? নির্দেশিকায় জল্পনা
এই হাসপাতালে ১১টি নিশ্চয়যান বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে সমস্যায় পড়েছেন প্রসূতিরা। আজ অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে হাসপাতালে আনার আগে বাড়িতেই সন্তান প্রসব করেন এক প্রসূতি। পরে ইঞ্জিনভ্যানে চাপিয়ে প্রসূতিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এলাকার আাশাকর্মীরাও সমস্যায় পড়েছেন। রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালের ব্লক মেডিক্যাল হেল্থ অফিসার সন্তু ঘোষ বকেয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন তিনি।
আরও খবর দেখুন