মহারাষ্ট্র: কোনও কারচুপি হয়নি, মহারাষ্ট্রে (Maharastra) পুনঃনির্বাচনের দাবি উড়িয়ে দিল নির্বাচন কমিশন ( Election Commission) । মহারাষ্ট্রে মহাযুতি জোট বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসার পর বিরোধীরা ভোটে গরমিলের দাবিতে সরব হয়ে পুনরায় ব্যালট পেপারে নির্বাচনের দাবি তোলেন। মঙ্গলবার বিরোধীদের দাবি উড়িয়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয় ভোটে কোনও গরমিল পাওয়া যায়নি। বিরোধীদের পুনঃনির্বাচনের প্রস্তাব খারিজ করে দেয় কমিশন।
‘ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এবং নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে ২০২৪ সালের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের সময়, প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে ৫টি করে ভিভিপ্যাট (VVPAT) স্লিপ গণনা করা হয়েছিল, যাতে এটি ইভিএমের সংখ্যার সঙ্গে মিল থাকে।
আরও পড়ুন: রাজ্যসভার সাংসদদের বৈঠকে আমন্ত্রণ পেলেন সুখেন্দুশেখর
বুথ কমিটি জানিয়ে দেয় ২৩ নভেম্বর এই মিলিয়ে দেখার সমস্ত প্রক্রিয়া চলে গণনা পর্যবেক্ষক, নির্বাচিত প্রার্থীর প্রতিনিধিদের সামনে।
নির্বাচন কমিশনের বিবৃতি অনুসারে মহারাষ্ট্রে ২৮৮ বিধানসভার ১৪৪০ ভিভিপ্যাটের স্লিপ গণনা সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণ ইউনিটের ডেটার সঙ্গে মিলিত দেখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ডিইওদের কাছ থেকে প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুসারে VVPAT স্লিপ গণনা এবং ইভিএম কন্ট্রোল ইউনিট গণনার মধ্যে কোনও গরমিল পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ভোটের রেজাল্ট বের হওয়ার পর থেকেই কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল নয়াদিল্লিতে কমিশনের দফতরে গিয়ে মহারাষ্ট্রে ভোটে বিপুল সংখ্যা গরমিলের মিলের অভিযোগ তোলেন। এই তথ্য নিশ্চিত করতে বুথ প্যানেলের কাছে কাগজপত্র চায় বিরোধীরা।
মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের সভাপতি নানা পাটোলে অভিযোগ, নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার করে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। অপরদিকে শরদ পাওয়ার সোলাপুর জেলায় একটি “ইভিএম বিরোধী” অনুষ্ঠানে এই প্রক্রিয়ায় ভোটদানে ভোটারদের আস্থার অভাবের কথা উল্লেখ করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ভোটার-ভেরিফায়েড পেপার অডিট ট্রেইল (ভিভিপিএটি) ব্যালটবিহীন ভোটদান পদ্ধতি ব্যবহার করে ভোটারদের প্রতিক্রিয়া প্রদানের একটি পদ্ধতি। কোনও ভোটার তার পছন্দমতো নির্বাচিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে ইভিএমের বোতাম টিপলে সেই প্রার্থী ভোট পায়। ভিভিপ্যাট প্রার্থীর নাম এবং নির্বাচনী প্রতীক সম্বলিত একটি স্লিপ প্রিন্ট করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি সিল করা বাক্সে ফেলে দেয়।
দেখুন অন্য খবর: