ওয়েবডেস্ক: আগামীকাল রামনবমী (RamNabami)। অযোধ্যায় (Ayodhya) উৎসবের আমেজ। হিন্দুদের (Hindu) কাছে রামনবমী অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়।
বিষ্ণুর সপ্তম অবতার ও মহাকাব্যে রামায়ণে রামকে (Lord Ram) ভগবানের আসনে বসানো হয়েছে। ভগবান রামের জন্মতিথি উদযাপন করতেই এই বিশেষ তিথি পালন করা হয়। তিথি হচ্ছে চৈত্র মাসের নবমীতে। মহা ধূমধামের সঙ্গে এই উৎসব পালন করা হয়। এবার রামনবমী ৬ এপ্রিল।
এবারেও মহাধূমধামের সঙ্গে এই উৎসব পালন করা হবে। সেইসঙ্গে প্রার্থনা, ভোজের আয়োজন করা হয়েছে। এই পুজোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সূর্য তিলক।
প্রতি বছরই সূর্যের রশ্মি (Sun Rays) দিয়ে রাম লালা মূর্তির প্রতীকী অভিষেক করা হয়ে থাকে। এবারেও তার অন্যথা হবে না। এই পবিত্র আচারকে সূর্যের আশীর্বাদের প্রতীক বলে ধরে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ব্যাংককে বৈঠক করলেন মোদি ও ইউনুস
রীতি অনুযায়ী যেহেতু রামচন্দ্র সূর্যবংশী রাজবংশের বংশধর তা নিয়ে সূর্য তিলকের আয়োজন। এই তিলকের অনুষ্ঠান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখানে শুধু সূর্যের শক্তিকে সম্মান করা হয় না, রামের মধ্যে সূর্যের যে তেজ, সহ্যক্ষমতা, শক্তির প্রতীককে তুলে ধরা হয়।
এই সূর্য তিলকের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিজ্ঞান। সূর্যের রশ্মি, লেন্স এবং আয়নার সুনির্দিষ্ট বিন্যাসের মাধ্যমে, রাম লালা মূর্তির কপালে তিলক পরিয়ে দিয়ে যায়। সূর্য যখন মধ্যগগনে তখন এই রশ্মি রামলালার কপাল স্পর্শ করে।
বিজ্ঞানের অপটোমেকানিক্যাল সিস্টেমকে কাজে লাগিয়ে এই আয়োজন সম্পন্ন করা হয়। ঐতিহ্য ও প্রযুক্তি মিলেমিশে এই রূপ দিয়ে থাকে। সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (CBRI) এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের বিশেষজ্ঞরা এই সিস্টেমের রূপকার। চলমান আয়নার সাহায্যে একটি ফ্যাব্রি-পেরট ক্যাভিটি ব্যবহার করে সূর্যের রশ্মিকে প্রতিমার কপালের সঠিক স্থানে বিবেচনা করা হয়। এই রশ্মির মূর্তি কপালে ৭৫ মিলিমিটারের একটি বৃত্তাকার চিহ্ন তৈরি করে।
রামনবমীর দিন দুপুর ১২ টোয় এই পবিত্র তিলকের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। পুরো প্রক্রিয়াটি প্রায় পাঁচমিনিট ধরে চলে।
দেখুন অন্য খবর: