কলকাতা: এসএলএসটি আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের (SLST Job Seekers Protest) ব্যাপারে সরকার ভুল কিছু হলে সরকারই তার প্রায়শ্চিত্ত করবে। এসএলএসটি ধরনা মঞ্চে গিয়ে শনিবার এমনটাই জানালেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) । এদিনই এসএলএসটির চাকরিপ্রার্থী ধরনা ১০০০ তম দিনে পড়ল। সেই মঞ্চে আচমকাই কিছু দলীয় কর্মী নিয়ে হাজির হন কুণাল। তাঁকে দেখে চাকরি প্রার্থীদের একাংশ চোর চোর বলে স্লোগানও তোলে। তাঁর দিকে জুতোও ছোড়া হয়। মঞ্চে তখন তুমুল বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। তাতে অবশ্য কুণাল দমেননি। তিনি অবস্থান মঞ্চে বসে পড়েন। চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথাও বলেন।
ওই মঞ্চ থেকেই কুণাল আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ফোন করে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) কথা বলিয়ে দেন। যাতে দ্রুত জট কাটে তার জন্য চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বৈঠকেরও ব্যবস্থা করেন। ঠিক হয়েছে, সোমবার ১১ ডিসেম্বর কুণাল সাত জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠক করবেন৷ সেই বৈঠকে , স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান, শিক্ষা দফতরের সচিব এবং আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন।
আরও পড়ন: জলের মিটার বসবে সারা কলকাতা জুড়ে, জানালেন মেয়র
পরে কুণাল বলেন, মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, অভিষেক সবাই চান, নিয়োগ হোক, চাকরি হোক। গণতান্ত্রিক দেশে আন্দোলন করার অধিকার সবার রয়েছে। আন্দোলনের পথ তো খোলা রয়েছে। কিন্তু আলোচনার মধ্যেদিয়ে সমাধান সূত্র বের হয় । কুণাল চাকরিপ্রার্থীদের সামনে শিক্ষামন্ত্রীকে ফোন করেন। কিছু আইনি জটিলতা আছে। সেই জট ধীরে ধীরে কাটছে। আমার সঙ্গে কথা বলে চাকরিপ্রার্থীরা সন্তুষ্ট।
এদিন এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের ধরনামঞ্চ ছিল জমজমাট। নানা স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড, পোস্টার লাগানো ছিল গান্ধীমূর্তির আশপাশে। বিক্ষোভকারীদের গলায় ঝুলছিল চাকরি চাই লেখা প্ল্যাকার্ড। চাকরির দাবিতে বেশকয়েকজন মহিলা ও পুরুষ চাকরিপ্রার্থী মাথা মুড়িয়ে ফেলেন। কুণাল বলেন, যে আন্দোলনকারীরা আমারা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন, তাদেরই একজন মহিলা আজ মাথা মুড়িয়েছেন। সেই কারণেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। ওঁকে আমি চিনি। ওঁর সঙ্গে কথাও হয়। আমাকে আগেও তিনি ধরনামঞ্চ আসতে বলেছিলেন। কিন্তু রাজনীতি হবে বলে আসিনি। ওঁকে এভাবে দেখে আজ এলাম।
আরও অন্য খবর দেখুন