কলকাতা: গঙ্গাসাগর দ্বীপে দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) মণ্ডপে অভিনবত্বের ছোঁয়ায়। ঠাকুর দেখতে এলেই দেখা মিলবে এক্সপ্রেস ট্রেনের। এভাবেই তৈরি হয়েছে এই পুজোর মণ্ডপ। যা দেখে বেজায় খুশি দর্শনার্থীরাও। মুড়ি গঙ্গা নদী পেরিয়ে চলে নিত্য যাতায়াত। এই তলাটের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ট্রেন পরিষেবা। কিন্ত মিলেছে শুধুই প্রতিশ্রুতি। এবার নিজেদের স্বপ্নকে মণ্ডপে তুলে ধরলেন বাসিন্দারা।
কপিলমুনি এক্সপ্রেস ট্রেন। চোখ ধাঁধানো থিমের মণ্ডপ গঙ্গাসাগর এক্সপ্রেস। কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া সবাইকে তাক লাগিয়ে গঙ্গাসাগর দ্বীপে ঢুকে পড়ল কপিল মুনি এক্সপ্রেস। মুড়িগঙ্গা নদী পার হলেই গঙ্গাসাগর দ্বীপ। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন এই মুরিগঙ্গা নদীতে তৈরি হবে গঙ্গাসাগর সেতু। সেটা গঙ্গাসাগরবাসীর কাছে দুঃস্বপ্ন হলেও তার আগেই মন্দিরতলা সার্বজনীন দুর্গা উৎসব কমিটির উদ্যোগে মন্দিরতলার বাসিন্দারা পেয়ে গেলেন গঙ্গাসাগর এক্সপ্রেস উপহার। আশ্চর্যের বিষয়ে তবে এটা ট্রেন নয়, এটা একটা পুজোমণ্ডপ, এক্সপ্রেস ট্রেনের আদলে তৈরি। দীর্ঘ পাঁচ মাস প্রায় ৩০ জন কারিগর অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই মন্ডপটি তৈরি করেছেন।
আরও পড়ুন: জলপাইগুড়ির অন্যতম বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়ির দুর্গাপুজো
আনুষ্ঠানিকভাবে ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই মন্ডপটিতে রয়েছে অটোমেটিক সিগনাল, বিভিন্ন জংশন স্টেশনের নাম। আছে কম্পিউটার ভয়েস।এক প্ল্যাটফর্ম থেকে অন্য প্লাটফর্মে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়েছে ওভার ব্রিজ, ট্রেনের ভিতরের কয়েকটা বগি পার হয়ে মায়ের মন্ডপে।একটি বগি থেকে আর একটি বগি পার হতে যতক্ষণ সময় লাগবে তারপরেই বেজে উঠবে নতুন স্টেশনের নাম। আছে প্লাটফর্ম, ওভার ব্রিজ, কেবিন ঘর, স্টেশন মাস্টারের ঘর, সিগন্যাল পোস্ট, প্রণামী হিসেবে বাক্সে পয়সা ফেললে বেরিয়ে আসবে গঙ্গাসাগর এক্সপ্রেস এর টিকিট। গ্রাম থেকে বহু মানুষ শহরতলীর পুজো দেখতে যান। এ বছর হয়ত থেকে শহরতলীর মানুষকে আসতে হবে প্রত্যন্ত দ্বীপ অঞ্চলের ঠাকুর দেখতে।
অন্য খবর দেখুন
