ওয়েব ডেস্ক: ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে সংঘর্ষ মঙ্গলবার পঞ্চম দিনে পড়ল। আশঙ্কা উসকে তেহরান (Tehran) খালি করার বার্তা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। সম্প্রতি ইরানের জনবসতিপূর্ণ এলাকায় হামলার হুঁশিয়ারি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Beniamin Netaniyahu)। এই আবহে জি৭ সম্মেলনের জন্য সফরসূচি কাটছাঁট করে নিজের দেশে ফিরে যাচ্ছেন ট্রাম্প। দু’দেশের মধ্যে বাড়ছে উত্তেজনা। ক্রমশ জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতির জন্যই জি৭ সম্মেলনের সূচি সম্পূর্ণ না-করে ফিরতে হচ্ছে ট্রাম্পকে। মঙ্গলবার রাতে আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিও ওয়াশিংটনে ফিরছেন বলে খবর.
হোয়াইট হাউসের প্রেসসচিব ক্যারোলিন লেভিট জানান, পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে নৈশভোজের পরে আমেরিকায় ফিরে আসবেন ট্রাম্প। দ্রুত বৈঠকে বসার চেষ্টা করছে ট্রাম্প প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ইরানিদের অবিলম্বে তেহরান খালি করার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
ঘটনাচক্রে, বৈঠকের সূচিতে কাটছাঁট করার খবর প্রকাশ্যে আসার কিছু আগেই ট্রাম্প নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। সকলকে তেহরান ছাড়ার নির্দেশ দেন তিনি। তিনি লেখেন, , ‘সকলের অবিলম্বে তেহরান ত্যাগ করা উচিত।’ তিনি আরও লেখেন, ‘আমি যে ‘চুক্তি’ স্বাক্ষর করতে বলেছিলাম, ইরানের সেটাই করা উচিত ছিল। কী লজ্জাজনক, আর মানুষের জীবনের অপচয়। সহজভাবে বলতে গেলে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে পারে না। আমি বারবার বলেছি! সকলের অবিলম্বে তেহরান ত্যাগ করা উচিত!’
জি৭ সম্মেলন থেকে ট্রাম্প জানান, তাঁকে যত দ্রুত সম্ভব ফিরে যেতে হবে ওয়াশিংটনে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতে, আমাকে ফিরতে। ফেরা জরুরি। বক্তৃতায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নেরও প্রশংসা করেন তিনি। কার্নেকে ‘ভালো আয়োজক’ বলেও অভিহিত করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, আমি যা দেখছি তা হয়ত আপনারাও দেখতে পাচ্ছেন।
মঙ্গলবার সকালেও নেতানিয়াহুর দেশের একাধিক জায়গায় সাইরেনের শব্দ পাওয়া গিয়েছে। এখন অব্যাহত দু’দেশের মধ্যে সংঘর্ষ। গত সপ্তাহের শুক্রবার থেকে ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তারপর পরমাণু যুদ্ধ শুরুর আবহ তৈরি হয়।
দেখুন আরও খবর: