কেরল: বাঘের আক্রমণে (Tiger Attack) কেরলের (kerala) ওয়েনাড়ে (Wayanad) প্রাণ গিয়েছে এক মহিলার। এই ঘটনাকে ঘিরে পরিস্থিতি ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।
স্থানীয় মানুষের দাবি, ঘাতক বাঘটিকে জীবিত বা মৃত ধরা হোক। পরিস্থিতি ক্রমশই খারাপের দিকে যাচ্ছে। অবস্থার কথা বিবেচনা করে কারফিউ (Cerfew) জারি করা হয়েছে ওয়েনাড়ে মনন্তবাড়িতে (Manantbari Wenade) ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এই এলাকায় বাঘের হানায় মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। এই ঘটনায় পাশের গ্রামগুলিতেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বাঘ ধরতে মাঠে নেমেছে বনদফতর। কিন্তু বাঘকে এখনও ধরা সম্ভব হয়নি। প্রশিক্ষিত হাতি আনতে হয়েছে বনদফতর। তাও মেলেনি বাঘের দেখা। শনিবার মনন্তবাড়ি এলাকায় বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়েরা। বাঘের হামলায় মৃত মহিলার শেষকৃত্য হয় শনিবার।
আরও পড়ুন: রহস্যময় অসুস্থতায় আতঙ্কে কাশ্মীরের রাজৌরি, আইসোলেশনে ২৩০ জন
তার পরই স্থানীয়েরা বন দফতরের অফিস ঘেরাও বিক্ষোভ দেখায়। তাদের দাবি বাঘকে মৃত বা জীবিত ধরতে হবে। বনদফতরের ভূমিকায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ বনদফতর সেভাবে কাজ করছে না। বাঘকে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেওয়ার পরেও কেন বাঘটিকে ধরতে সেই রকম তৎপরতা দেখানো হচ্ছে না। বাঘটিকে খাঁচা পেতে, টোপ দিয়ে এবং ঘুমপাড়ানি গুলি ব্যবহার করে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বনাধিকারিক প্রমোদ জি কৃষ্ণণ জানিয়েছেন, জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ সংস্থার নির্দেশিকা মেনেই কাজ করা হচ্ছে। তাই প্রথমে ঘুমপাড়ানি গুলি ব্যবহার করেই বাঘটিকে বাগে আনার চেষ্টা হচ্ছে। এই সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে তবেই গুলি চালানো। সব কিছুরই একটা পদ্ধতি আছে। নিয়ম বিরুদ্ধ কাজ করা যায় না।
দেখুন অন্য খবর: