আলিপুরদুয়ার: বীরপুরুষ ও বীরঙ্গনা সম্মানে ভূষিত হল ডুয়ার্সের চা বলয়ের চার পড়ুয়া। পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা (West Bengal Child Protection Commission) আয়োগের পক্ষ থেকে বীরপুরুষ ও বীরঙ্গনা সম্মান দেওয়া হয়েছে। সুখবরে গর্বিত রাজ্যের প্রান্তিক এলাকার সকল মানুষ। সম্মান প্রাপকদের মধ্যে আছে ডুয়ার্সের কালচিনি ব্লকের ভাতখাওয়া বাগানের দিবাকর দর্জি, আটিয়াবাড়ি চা বাগানের বর্ষা খড়িয়া, গাঙ্গুটিয়া চা বাগানের নিখিল মুণ্ডা ও পাটকাপাড়া চা বাগানের রানি ওরাঁও। এই চারজন পড়ুয়া বিভিন্ন বিভাগে কৃতিত্ব অর্জন করেছে।
আটিয়াবাড়ি চা বাগানের পড়ুয়া বর্ষা খড়িয়া নিজে সেল্ফ ডিফেন্স প্রশিক্ষণ নিয়েছে। পাশাপাশি বাগানের যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা আর্থিক অনটনের কারণে এই প্রশিক্ষণ নিতে পারে না সে তাদের সেল্ফ ডিফেন্সের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এই সম্মান প্রসঙ্গে বর্ষা জানান, রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া এই সম্মান আমাকে আরও এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা জোগাবে।আমি মেয়েদের সেল্ফ ডিফেন্সের কৌশল আরও বেশি করে শেখাতে চাই। যাতে তারা অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে নিজেদের রক্ষা করতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন: ভাঙড়ে আইএসএফ-এতে ভাঙন, তৃণমূলে যোগ বুথ সভাপতি
ভাতখাওয়া চা বাগানের পড়ুয়া দিবাকর দর্জি। নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি চা বাগানের অন্য ছোট ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় সাহায্য করে। লকডাউনের সময় সে সবজি বিক্রি করে পড়াশোনা করে ও বাগানের ছাত্র-ছাত্রীদের কোচিং করায়। গাঙ্গুটিয়া চা বাগানের ছাত্র নিখিল মুণ্ডা কথা বলতে পারে না। কিন্তু শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে চালিয়ে যাচ্ছে পড়াশোনা।
একইভাবে জেলার পাটকাপাড়া চা বাগানের ছাত্রী রজনী ওঁরাওয়ের গল্পটা একটু অন্যরকম। এক সময় রজনীর বাবা প্রচুর মদ খেতেন এবং তিনি মদের নেশায় এতটাই আসক্ত হয়ে পড়েন যে তিনি মারা যান। শৈশবেই বাবার ছায়া মাথা থেকে উঠে যায়।, এই ঘটনার পর তিনি মদ্যপানের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে শুরু করে রজনী এবং গ্রামে সচেতনতা ছড়াতে শুরু করে সে, তারপর থেকে, তার গ্রামের প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ মদ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে, রজনী এখনও সচেতনতামূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এই কারণেই আজ তাকে বীরাঙ্গনা পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছে।
আরও অন্য খবর দেখুন
![YouTube player](https://i.ytimg.com/vi/G6nO17Io610/maxresdefault.jpg)