কলকাতা: জলই জীবন। পানীয় জলের জন্য নদী, পুকুরেরর উপর ভরসা করতে হত গ্রামাঞ্চলের মানুষকে। তা খুব দূরের অতীত ঘটনা নয়। কিংবা সরকারি উদ্যোগে বসানো টিউবওয়েলের জল পেতে কলসি, বালতি নিয়ে গাঁয়ের বধূদের এ পাড়া, ও পাড়া যেতে হত। এখনও পাহাড়ি এলাকা সহ বেশ কিছু প্রত্যন্ত এলাকায় এই দৃশ্য দেখা যায়। টিউবওয়েলে এখন বেশিরভাগ জায়গায় জলের স্তর পাওয়া যায় না। তবে পল্লি এলাকায় অনেকে বাড়িতে এখন মোটর পাম্প বসেছে। কিন্তু তার খরচও গড়ে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। আগের চেয়ে সার্বিকভাবে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যসচেতনতা বেড়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকাতেও দেখা যায় কিছুটা দূরে তুলনায় উন্নত জায়গা থেকে ২০ লিটারের জার কিনে আনছে অনেক পরিবার। কিছু কিছু জায়গায় গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে পাড়া ভিত্তিক মোটর পাম্পও বসানো হয়েছে। তবু এখনও জলকষ্টে ভুগছেন অনেকেই। এই প্রেক্ষিতে সরকারি উদ্যোগে পাইপ লাইনের মাধ্যমে আর মাস চারেকের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে (Door to Door Drinking Water) পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছনোর উদ্যোগে দ্রুত কাজ চলছে। ইতিমধ্যে কয়েক লক্ষ মানুষ সেই পরিষেবা পেতে শুরু করেছেন। অতি সক্রিয়তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আধিকারিক ও সংস্থাকে কাজ করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যুদ্ধকালীন সক্রিয়তায় কাজ চলছে। তারই মধ্যে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থার আওতাধীন এলাকার জমিতে পাইপ বসানোতে অসহযোগিতা ও পাইপ লাইন থেকে জল চুরি করে চাষের কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে কড়া বার্তাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতি সপ্তাহে বৈঠক করে এই প্রক্রিয়ায় গতি আনার উদ্যোগও নিয়েছেন তিনি। সোমবার নবান্নে (Nabanna) ফের বসছে এই সংক্রান্ত মন্ত্রীগোষ্ঠীর বৈঠক (Meeting)।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ২৫ হাজার ৭৭১টি জায়গা চিহ্নিত হয়েছে যেখান থেকে জল চুরি হচ্ছে। রাজ্যব্যাপী জলচুরির মোট ২০১৮ টি অভিযোগ করেছে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর। হয়েছে এফআইআরও। গোটা বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করতে আজ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীগোষ্ঠীর পাশাপাশি জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকার নির্দেশ নবান্নের। জল চুরি আটকাতে পরপর বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছিলেন। আজ বিকেল পাঁচটা থেকে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক ডাকা হয়েছে। এদিনের বৈঠকে জল-বিপ্লবে রাজ্যের ১ কোটি ৭৭ লক্ষ বাড়িতে আগামী এপ্রিলের মধ্যে পানীয় জল পৌঁছে দেওযার লক্ষ্যে নতুন কি বক্তব্য উঠে আসে সেদিকে তাকিয়ে রাজ্যের মানুষ।
আরও পড়ুন: অস্বীকৃত বিয়ের সন্তানকে অনুকম্পাজনিত চাকরি দেওয়া নিয়ে বঞ্চনা নয়: হাইকোর্ট
দেখুন অন্য খবর: