নটিংহ্যাম: ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড (Man Utd) এবং রিয়াল মাদ্রিদে (Real Madrid) প্রথম পাঁচ-ছয় বছর থাকাকালীন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo) খেলা কেউ ভুলবে না। বাঁ প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে দৌড়, ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে বক্সে ঢুকে পড়ে গোল, এ প্রায় রোজকার অভ্যাস করে ফেলেছিলেন পর্তুগিজ মহাতারকা। অনেকটা সেরকমই ফর্মে খেলছেন মার্কাস র্যাশফোর্ড (Marcus Rashford)। প্রায় রোজই গোল করছেন। বুধবার কারাবাও কাপ (Carabao Cup) সেমিফাইনালের প্রথম লেগে নটিংহ্যামের বিরুদ্ধে তাঁর গোল সেই টপ ফর্মের রোনাল্ডোকে মনে পড়াল। প্রায় মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে দুই ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে বক্সে ঢুকে পড়লেন। তারপর বাঁ পা দিয়ে দুরন্ত শটে বল জালে জড়ালেন তিনি।
নটিংহ্যাম ফরেস্টকে (Nottingham Forrest) তাদের ঘরের মাঠে ৩-০ গোলে হারাল ম্যান ইউ। ম্যাচের ৬ মিনিটে র্যাশফোর্ডের গোলের পর বাকি দুই গোল করলেন নবাগত স্ট্রাইকার ওয়াউট ওয়েঘর্স্ট এবং ব্রুনো ফার্নান্ডেজ (Bruno Fernandez)। ম্যান জার্সিতে এটাই ওয়েঘর্স্টের প্রথম গোল। বক্সের বাইরে থেকে অ্যান্টনির জোরালো শট গোলকিপার প্রতিহত করলে তা ছিটকে ডাচ স্ট্রাইকারের পায়ে আসে। তিনি গোল করতে ভুল করেননি। ম্যাচের একেবারে শেষ লগ্নে ব্যবধান বাড়ান ফার্নান্ডেজ।
এই জয়ে কাপ ফাইনালে জায়গা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল ম্যান ইউয়ের। দ্বিতীয় লেগে বিরাট কোনও অঘটন না ঘটলে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে (Wembley Stadium) তাদের ফাইনাল খেলা নিশ্চিত। গত রবিবার দুর্দান্ত লড়াই করেও আর্সেনালের (Arsenal) কাছে ৩-২ গোলে হারের পর দারুণভাবে ফিরে এল এরিক টেন হাগের (Eric Ten Hag) দল।
মাত্র ছ’ মাসে একটা বিভ্রান্ত এবং আত্মবিশ্বাস তলানিতে চলে যাওয়া দলকে পুনর্জীবন দিয়েছেন তিনি। তাঁর মগজাস্ত্রের উপর ভর করেই নতুন করে স্বপ্ন দেখছে ম্যান ইউ সমর্থকরা। এই মরশুমে প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন না হলেও প্রথম চারে থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের যোগ্যতা অর্জনই লক্ষ্য টেন হাগের। এছাড়াও ইউরোপা লিগ, কারাবাও কাপ এবং এফএ কাপ জেতার হাতছানি তো রয়েছেই।