কাতার: ২০২১ সালের ১১ জুলাই। লন্ডনের (London) ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে (Wembley Stadium) ইউরো কাপের (Euro Cup) ফাইনাল। ম্যাচ গড়িয়েছে টাইব্রেকারে। পেনাল্টি নষ্ট করলেন মার্কাস র্যাশফোর্ড (Marcus Rashford)। ইতালির (Italy) কাছে হেরে গেল ইংল্যান্ড (England)। একে পেনাল্টি মিসের অবসাদ, তার সঙ্গে তীব্র বর্ণবিদ্বেষী আক্রমণে বিদ্ধ হলেন কৃষ্ণাঙ্গ ফুটবলারটি। সীমাহীন অন্ধকারে তলিয়ে গিয়েছিলেন, লড়াই করে আলোয় ফিরলেন র্যাশফোর্ড।
মঙ্গলবার ওয়েলসকে (Wales) ৩-০ উড়িয়ে বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় পৌঁছে গেছে ইংল্যান্ড। জোড়া গোল করেছেন র্যাশফোর্ড। ভাগ্য আর একটু সহায় থাকলে পেতে পারতেন হ্যাটট্রিকও। এই বিশ্বকাপে প্রথম ডিরেক্ট ফ্রি-কিকে (Free Kick) গোল এল তাঁর পা থেকেই। দেড় বছর আগে যাঁকে বিদ্রূপ করেছিল এক শ্রেণির ইংরেজ সমর্থক আজ তাঁরই প্রশংসায় মুখর সবাই।
আরও পড়ুন: Arg vs Pol: আর্জেন্টিনা নাকি পোল্যান্ড, পরিসংখ্যানে এগিয়ে থেকে কারা নামছে
মঙ্গলবারই এই বিশ্বকাপে প্রথমবার প্রথম এগারোয় সুযোগ পেয়েছেন র্যাশফোর্ড। কোচ গ্যারেথ সাউথগেটকে (Gareth Southgate) তার প্রতিদান দিলেন সুদে আসলে। এর আগে পরিবর্ত হিসেবে নেমে গোল করেছিলেন ইরানের (Iran) বিরুদ্ধে। সবমিলিয়ে তিন ম্যাচে তিন গোল। কাতার বিশ্বকাপে (Qatar World Cup) সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় কিলিয়ান এমবাপে এবং কোডি গাকপোর সঙ্গে রয়েছে র্যাশফোর্ডের নামও।
মাত্র ১৯ বছর বয়সে উল্কার মতো উত্থান হয়েছিল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে (Manchester United)। গতিময় উইঙ্গারকে সবাই ভবিষ্যতের তারকা ভেবে নিয়েছিলেন। ভালোই চলছিল কিন্তু ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ মরসুমে আচমকাই হারিয়ে যেতে শুরু করেন। ক্লাবের প্রথম এগারোয় সুযোগ পাচ্ছিলেন না, এ বছরের মাঝামাঝি নেশনস লিগের খেলায় ইংল্যান্ড দলেও ঠাঁই হয়নি।
তবে এই মরসুমে রেড ডেভিলদের নয়া কোচ এরিক টেন হাগের হাতে পড়ে দিন বদলের শুরু হয় র্যাশফোর্ডের। নিজের প্রতিভার প্রতি সুবিচার করতে শুরু করেন। ফর্ম ফিরে পান, আসতে থাকে গোলও। পুরস্কারস্বরূপ বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয় র্যাশফোর্ডের। প্রথম দুই ম্যাচে শুরু থেকে না খেললেও ওয়েলসের বিরুদ্ধে নেমে দুরন্ত খেলা দেখিয়েছেন। শেষ ষোলোয় সেনেগালের বিরুদ্ধেও তিনি শুরু করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ইউরো কাপ পরবর্তী অন্ধকার দিন এখন অতীত। এখন বিশ্বকাপের সোনালি উজ্জ্বল দিন।