আমেদাবাদ: টসে জিতে প্যাট কামিন্স যখন বল করার সিদ্ধান্ত নিলেন, অনেকেই ভ্রু কুঁচকেছিলেন। ফাইনালের মতো ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাট করাই নিরাপদ। রোহিত শর্মাও জানালেন, তিনি টসে জিতলে তিনি ব্যাটিংই নিতেন। তাহলে কি অস্ট্রেলিয়া ভুল করল? ঠিক তার উলটো। নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের পিচ দারুণভাবে পড়ে ফেলেছিল অজি টিম ম্যানেজমেন্ট। মন্থরতম এই পিচ দ্বিতীয়ার্ধে শিশির পড়লে একটু সহজ হতে পারে। না হলেও ক্ষতি নেই। ভারতকে অল্প রানে বেঁধে তো রাখা গেল।
অজি বোলাররা পাওয়ার প্লে থেকেই স্লোয়ার দেওয়া শুরু করলেন। মাঝের ওভারে বাউন্ডারি যেন ডুমুরের ফুলের মতো হয়ে উঠল। বিরাট কোহলি এবং শ্রেয়স আইয়ার হাফ-সেঞ্চুরি করে রানটাকে ভদ্রস্থ জায়গায় নিয়ে গেলেন। শেষ দিকে স্বভাবসিদ্ধ খেলা খেলে রান ২৫০ পার করবেন, সূর্যকুমার যাদবের কাছ থেকে এমনই আশা ছিল। কিন্তু স্কাই আজ আকাশ ছুঁতে পারলেন না। উলটে ২৮ বলে ১৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন।
আরও পড়ুন: কোহলির হাফ-সেঞ্চুরি, পাল্টা লড়াই টিম ইন্ডিয়ার
ব্যাট করতে নেমে প্রথমেই চাপে পড়ে যায় ভারত। ৮১ রানে ৩ উইকেট পড়ে যায়। রোহিত শর্মা তাঁর পরিচিত ছন্দে শুরু করেছিলেন। অজি পেসারদের বাউন্ডারিতে পাঠাচ্ছিলেন। প্রথমে আউট হলেন শুভমন গিল। মিচেল স্টার্কের বলে পুল করতে গিয়ে মিড অনে ধরা পড়লেন। রোহিত একদিকে মারছেন, ওই সময় ওই শটের কোনও দরকার ছিল না।
ভারত শেষ পর্যন্ত ২৪০ রানে অল আউট। তবে এখনই আশাহত হওয়ার কিছু নেই। ভারত যেমন রান করতে অসুবিধায় পড়েছে, বেগ পাবে অস্ট্রেলিয়াও। ভারতের কাছেও রয়েছে জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামি এবং দুই বিশ্বমানের স্পিনার। শুধু একটাই আক্ষেপ, যদি মহম্মদ সিরাজের জায়গায় রবিচন্দ্রন অশ্বিন খেলতেন! সিরাজ যদি আমায় ভুল প্রমাণ করেন, আমারই ভালো লাগবে। মোট কথা ২৪০ তাড়া করা সহজ হবে না।