মিলান: এসে গেল উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স (UCL) লিগের রাত। আজ সেমিফাইনালের দ্বিতীয় পর্বে মুখোমুখি হচ্ছে মিলান (Milan) শহরের দুই চির-প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব এসি মিলান (AC Milan) এবং ইন্টার মিলান (Internazionale)। ঐতিহ্যশালী সান সিরো স্টেডিয়ামে (San Siro Stadium) আজ রাতেই নিশ্চিত হয়ে যাবে, ফাইনালে যাচ্ছে কোন দল। প্রথম লেগে ২-০ জেতায় অ্যাডভান্টেজ অবশ্যই ইন্টারের। কিন্তু এই ধরনের হেভিওয়েট ম্যাচে ভবিষ্যদ্বাণী করা বোকামি। আজ শুরুতে এসি মিলান একটা গোল করে দিলেই ম্যাচ জমে উঠবে।
প্রথম লেগে এডিন জেকো (Edin Dzeko) এবং হেনরিখ মিখতারিয়ানের গোলে এগিয়ে আছে ইন্টার। সেদিন গোল শোধের অনেকটা সময় পেয়েছিল মিলান। কিন্তু আক্রমণ ভাগে তেমন জোর ছিল না। অলিভিয়ের জিরু একা খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেননি। তবে আজ কিন্তু চোট সারিয়ে ফিরে আসছেন তরুণ ফরোয়ার্ড রাফায়েল লিও (Rafael Leo)। কোয়ার্টার ফাইনালে নাপোলিকে হারানোর অন্যতম প্রধান কারিগর ছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর দেশের এই ছেলেটি। তিনি দলে ঢোকায় মিলানের আক্রমণ শক্তিশালী হবে তাতে সন্দেহ নেই।
আরও পড়ুন: Emiliano Martinez | কলকাতা ময়দানের ঘাসে বিশ্বকাপ জয়ীদের পায়ের ছাপ…
২০০৫ সালের পর ইউরোপীয় ফুটবলের বৃহত্তম মঞ্চে মুখোমুখি হয়েছে ইতালির (Italy) মিলান শহরের দুই ক্লাব। নাপোলিকে (Napoli) হারিয়ে এসি মিলান (AC Milan) সেমিতে পৌঁছে গিয়েছিল। দুই পর্ব মিলিয়ে বেনফিকাকে (Benfica) ৫-৩ ফলে হারিয়ে শেষ চারে যায় ইন্টার (Inter)। নেরাজুরিদের হয়ে গোল করেছিলেন নিকোলো বারেলা, লাতারো মার্তিনেজ (Lautaro Martinez) এবং হোয়াকিন কোরেয়া।
ইতালিয়ান ফুটবলে যেন রেনেসাঁ, নবজাগরণ ঘটেছে। বহু যুগ পর উঠল সেমিফাইনালে আজুরিদের দুটি ক্লাব। বছরের পর বছর জুভেন্তাসের প্রভুত্বের পর ফের জেগে উঠেছে এসি মিলান, ইন্টার মিলান, নাপোলির মতো ক্লাবগুলো। এককালে তারাই ছিল ইতালীয় ফুটবলের মুখ। এসি মিলান তো এক সময় গোটা ইউরোপের সেরা দল ছিল। রিয়াল মাদ্রিদের পর সবথেকে বেশি সাতবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে তারাই।
একটা সময় ছিল যখন মিলান ডার্বি দেখত গোটা বিশ্ব। তখন ম্যাঞ্চেস্টার ডার্বি কিংবা এল ক্লাসিকোর এরকম রমরমা হয়নি। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড বড় ক্লাব হলেও সে সময় ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ছিল সাধারণ মানের দল। আর এল ক্লাসিকোর এই জৌলুস তো লিওনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর দ্বৈরথ থেকে। আগে পৃথিবীর সেরা সেরা ফুটবলাররা মিলান শহরের দুই ক্লাবে খেলতেন।