কলকাতা: ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ, রামকৃষ্ণ মিশন, ইস্কন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিকৃষ্ট মানের রাজনীতি করছেন বলে অভিযোগ করলেন অধীর চৌধুরী। মঙ্গলবার তিনি বলেন, কে কার্তিক মহারাজ। তাঁকে নিয়ে আমি বেশি কিছু বলতে চাই না। তাঁকে অত গুরুত্ব দেওয়ারও কিছু নেই। তিনি তো এক সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। পরে শুভেন্দু অধিকারীরও ঘনিষ্ঠ হন।
মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের বেলডাঙা শাখার অধ্যক্ষ কার্তিক মহারাজ রেজিনগর দাঙ্গার হোতা ছিলেন। মঙ্গলবার অধীর বলেন, রেজিনগরের দাঙ্গা তো পূর্বপরিকল্পিত। নাহলে ঘটনার আগে জেলার এসপি মুকেশকে নির্বাচন কমিশন সরিয়ে দেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী রায়গঞ্জ থেকে কী করে বললেন, এরপর মুর্শিদাবাদে দাঙ্গা হলে আমি কমিশনকে ছাড়ব না। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বহরমপুরে বসে বলেন, আমি ঘটনার দিন জখম লোকজনকে দেখতে বহরমপুর হাসপাতালে যাই। আমাকে দেখে বিজেপি স্লোগান দিল, হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছে কেন, অধীর চৌধুরী জবাব দাও।
আরও পড়ুন: মমতাকে কুকথা, অভিজিতের প্রচারে ২৪ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা
মুখ্যমন্ত্রী ভারত সেবাশ্রমের কার্তিক মহারাজ ছাড়াও রামকৃষ্ণ মিশনের আসানসোলের এক সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ভারত সেবাশ্রম, রামকৃষ্ণ মিশন, ইস্কনের কিছু সাধু ঠিক নন। আমি প্রমাণ হাতে রেখে, খবর নিয়েই বলছি। এই সব আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী কথা বলায় ভক্ত সমাজ ক্ষুব্ধ। এই তিন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে হাজার হাজার ভক্তের যোগাযোগ। মমতা অবশ্য দাবি করেন, তিনি কোনও প্রতিষ্ঠানকে আক্রমণ করেননি। কয়েকজন ব্যক্তি সম্পর্কে কথা বলেছেন। আমার সঙ্গে এই সব প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক খুবই ভালো। অধীর বহরমপুরে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এইসব কথা বলে সংখ্যালঘুদের বার্তা দিলেন, আমি তোমাদের সঙ্গে আছি।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে সোমবার সন্ধ্যায় বহরমপুরে সন্ত সমাজ মিছিলের আয়োজন করে। সেখানে হাজির ছিলেন কার্তিক মহারাজ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ শুক্রবার উত্তর কলকাতায় মিছিলের ডাক দিয়েছে। বাগবাজার মায়ের বাড়ি থেকে সাধুদের সেই মিছিল বিবেকানন্দ রোডে স্বামীজির বাড়িতে এসে শেষ হবে বলে পরিষদ জানিয়েছে। এই মিছিলের নাম দেওয়া হয়েছে স্বঅভিমান যাত্রা। শনিবার শেষ দফার ভোটের প্রচারে কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের সমর্থনে মোদির রোড শো করার কথা রয়েছে। তার আগের দিনই উত্তর কলকাতায় পথে নামছেন সাধু-সন্তরা।