নামখানা: আজ নবমী (Navami)। পুজোর (Durga Puja 2023) শেষ দিন। উৎসবের শেষ বেলায় সমস্ত আনন্দটুকু দুই হাতে লুটেপুটে নিতে চাইবেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু, দুর্গাপুজোর মধ্যেই দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে বঙ্গোপসাগরে (Bay Of Bengal )তৈরি হওয়া নিম্নচাপ। ইতিমধ্যে প্রশাসনের নির্দেশে হাজার হাজার ট্রলার ভিড়ছে নামখানায়। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্তে হাজার হাজার মৎস্যজীবী মাছ না ধরেই বাড়ি ফিরছে। পাশাপাশি, দশমী ও একাদশীতে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পরিবারের হাতে কিছু তুলে না দেওয়ার দুঃখ যেন তাড়া করছে তাঁদের।
করোনার পর থেকে মৎস্যজীবীদের ভাগ্যে জুটছে না ইলিশ থেকে শুরু করে অন্যান্য মাছ। কারণ, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে বেশিরভাগ সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাড়ি ফিরে আসতে হচ্ছে তাঁদের।ইতিমধ্যে আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পুজোর মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছিল নিম্নচাপ এবং তা ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। অষ্টমীতে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এরপর শক্তি বাড়িয়ে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে তা গতিপথ বদল করতে পারে। মনে করা হচ্ছে, এর অভিমুখ হতে পারে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন উপকূল। এর জেরে রাজ্যের উপকূলের জেলাগুলিতে বাড়বে বৃষ্টিপাত। দশমী থেকে দ্বাদশী পর্যন্ত দুর্যোগ বাড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গে।
আরও পড়ুন: পুজো কার্নিভালে মিলবে বাড়তি মেট্রো পরিষেবা, জানুন সময়সূচি
উল্লেখ্য, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া বহু মৎস্যজীবী ইতিমধ্যে ট্রলার ডুবে প্রাণ হারিয়েছে। কাকদ্বীপ নামখানা ফ্রেজারগঞ্জ এলাকার শতাধিক মৎস্যজীবী এখনও নিখোঁজ। তা সত্ত্বেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে ফিরতে হচ্ছে বারবার। মৎস্যজীবীর কার্ড থাকলেও সরকারি কোনও সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে না বলে দাবি মৎস্যজীবীদের। এই অবস্থায় মৎস্যজীবীদের পরিবার পড়েছে মহা সমস্যায়।
দেখুন আরও অন্য খবর: