বানারহাট: বাবার সঙ্গে বচসার জেরে ভুটান থেকে ভারতে ঢুকে পড়েছিল ছেলে। ছেলের চিন্তায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করলেও পাওয়া যায়নি। ছেলে মারা গিয়েছেন এমনটাই মেনে নিয়েছিলেন বাবা নামগে ওয়াংদি। অবশেষে প্রায় ১৩ বছর পর একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের চেষ্টায় ফিরে পেলেন তাঁর ছেলেকে।
জানা গিয়েছে, ভুটানের রাজধানী থিম্পুর নিবাসী ২৩ বছরের ফোনসে ওয়াংদি থিম্পুর একটি বেকারিতে বাবার সঙ্গেই কাজ করতেন। বাবার সঙ্গে ঝগড়া করে ভুটান থেকে পালিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন ফোনসে। পাড়ি দেয় দক্ষিণ ভারতের চেন্নাইয়ে। সেখানকার একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন বলে জানান তিনি। পরবর্তীতে করোনার জেরে লকডাউন শুরু হলে তিনি কর্মহীন হয়ে পড়েন। এর জেরেই মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল তিনি। ভবঘুরে অবস্থায় চেন্নাইয়ের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তাঁকে উদ্ধার করে। চেন্নাইয়েরই একটি মানসিক হাসপাতালে প্রায় ছয় মাস তাঁর চিকিৎসা চলে। এরপর মুম্বইয়ের শ্রদ্ধা রিহ্যাবিলিটেশন ফাউন্ডেশন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তাঁকে মুম্বইয়ে নিয়ে গিয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করায়। তাঁদের হাত ধরেই ফোনসে সোমবার বাড়ি ফিরলেন।
আরও পড়ুন: ৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল