কলকাতা: ইতিমধ্যেই ষষ্ঠ দফার লোকসভা নির্বাচন (Sixth phase Lok Sabha Elections) হয়ে গিয়েছে। বাকি রয়েছে সপ্তম তথা শেষ দফার। সেই ভোট হবে ১ জুন। ৫৪৩টি আসনে ৪ জুন নির্বাচনের ফল ঘোষণা। ফল প্রকাশের দিন গণনা কেন্দ্রগুলোতে মোবাইল নিয়ে প্রবেশে কড়া নজরদারি নির্বাচন কমিশনের। শুধুমাত্র রিটার্নিং অফিসার এবং গণনা পর্যবেক্ষকরা মোবাইল নিয়ে গণনা কেন্দ্রগুলোতে ঢুকতে পারবেন। রাজনৈতিক দলের প্রার্থী, দলের এজেন্টদের গণনা কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে ঢোকার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন। একই সঙ্গে গণনা কেন্দ্রগুলোতে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারি। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে এমনটাই নির্দেশ মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের।
নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) প্রথম থেকেই লক্ষ্য ছিল অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন। যাতে ভোটে রক্তক্ষয় বন্ধ হয়। সাধারণ মানুষ যাতে ভয়হীন হয়ে বুথমুখী হয়। রাজ্য পুলিশে আস্থা ছিল না বিরোধীদের। বিরোধীরা প্রথম থেকে ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছিল। সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তাতেই ভোট গ্রহণ চলছে। বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্য দিয়েই মিটেছে ছয় দফার নির্বাচন।
আরও পড়ুন: আগামিকাল মোদির মেগা রোড শো উত্তর কলকাতায়
কমিশন সূত্রের দাবি, অন্যবারের তুলনায় এবারে ভোটে হিংসা অনেকটাই কম হয়েছে।কমিশন জানিয়েছে, শেষ দফার ভোটের দিন ইভিএম মেশিনের ১০০ মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে ইন্টারনেট বন্ধ থাকবে। গণনার দিন রিটার্নিং অফিসার এবং গণনা পর্যবেক্ষকরা মোবাইল নিয়ে গণনা কেন্দ্রগুলোতে ঢুকতে পারবেন। রাজনৈতিক দলের প্রার্থী, দলের এজেন্টদের গণনা কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ নিষেধ।
আগামী ১ জুন কলকাতার দুটি সহ মোট ৯টি আসনে ভোট গ্রহণ হবে। সপ্তম দফার ভোটের আগে থেকেই বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। সপ্তম দফার ভোটে সন্দেশখালির প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ন্যূনতম ‘১ সেকশন’ আধা সেনা মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। বারুইপুর, সুন্দরবন এবং বসিরহাট পুলিশ জেলাকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাই ওই পুলিশ জেলাগুলির উপর বিশেষ নজরদারি থাকবে নির্বাচন কমিশনের।
অন্য খবর দেখুন