জলপাইগুড়ি: স্থানীয় বুথ সভাপতি সহ ছ্য় তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ময়নাগুড়িতে (Moynaguri)। এই ঘটনায় বিজেপিকে (BJP) কাঠগড়ায় তুলল তৃণমূল। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ। পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় যান তৃণমূল (TMC) পরিচালিত ময়নাগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মনোজ রায়।
অভিযোগ, শুক্রবার গভীর রাতে ময়নাগুড়ির খাগড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আগুনে পুড়ে গিয়েছে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়ি। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে বাড়ির পাঁচ সদস্য। অপরদিকে খাগড়াবাড়ি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের ১৬/৬৩ নম্বর বুথ সভাপতি সবিন চন্দ্র রায়ের বাড়ি এবং মাধবডাঙ্গা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আরও চার জনের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
পাঁচ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ওই ছটি বাড়িতে শুক্রবার গভীর রাতে একই সময়ে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ময়নাগুড়ি ও ধুপগুড়ি থেকে দমকল কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। একসঙ্গে ছটি জায়গায় আগুন লেগে যাওয়ার কারণে তা নেভাতে ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় দমকল কর্মীদের।
তৃণমূলের বুথ সভাপতি সবিন চন্দ্র রায় শুক্রবার রাতে আগুন লাগার বিষয়ে বিরোধী বিজেপি দলের উপর আঙুল তুলেছেন। এই ঘটনায় যারা জড়িত রয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকায় অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি করতে বিরোধীদের এই চক্রান্ত।
আরও পড়ুন: Fact Finding Committee | রিষড়া যেতে বাধা, তথ্যানুসন্ধান কমিটিকে আটকে দিল পুলিশ
স্থানীয় বাসিন্দা খুশি মণ্ডল জানান, তাঁর বাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে। ঘরের আসবাবপত্র, জমির ধান, প্রয়োজনীয় নথিপত্র সমস্ত কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।
পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মনোজ রায় বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করতে বিজেপি পরিকল্পনা করে এই অগ্নিসংযোগ ঘটিয়েছে।আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পুলিশ দ্রুত তদন্ত করে অভিযুক্তদের খুঁজে বের কররুক। তাদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যাবস্থা নেওয়ার আবেদন রাখছি।
তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায়ের পাল্টা দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে, এর সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই।
জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডাবলে বলেন, অশান্তি এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তদন্ত চলছে।