নদীয়া: এবার বিষ্ফোরক কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়। হারের কারণ হিসেবে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সহ একাধিক অভিযোগ তুললেন তিনি। দলের বিরুদ্ধে উগরে দিলেন ক্ষোভ। তিনি বলেন, আমি রাজনীতিতে আসতে চাইনি। জোর করে আনা হয়েছে। আমি বলেছিলাম, লবি পছন্দ করি না, রাজনীতি পছন্দ করি না। আমি সোজা রাস্তায় হাঁটি, এখানে এসে দেখলাম খুব লবি রয়েছে। গোষ্ঠীদ্বন্ধ দলকে শেষ করে দিচ্ছে। এখানে সংগঠনের ঘাটতি আছে। আমায় না বলে অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হত। প্রচারের সময় আমায় না বলে করা হত। নির্বাচনের জন্য প্রচুর টাকা এসেছে। আমায় কিছু জানানো হয়নি। নিজেকে অপমানিত বোধ করেছি, নিজেদের মতো খরচ করেছে ওরা। আমি বলার পরেও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন অমৃতা।
কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের এবারের বিজেপি প্রার্থী হন অমৃতা রায়। তিনি তৎকালীন রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজ পরিবারের বধূ। এর আগে কখনও তাঁকে রাজনীতির ময়দানে আসতে দেখা যায়নি। প্রার্থী ঘোষণার কয়েকদিন আগেই তিনি শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন। সেদিনই বলেছেন, বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান তিনি। কার্যত তাঁর কথাতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল লোকসভার প্রার্থী তিনিই। এরপরই তাঁকে প্রার্থীও করে বিজেপি। প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। নির্বাচনের আগে আত্মবিশ্বাসীও ছিলেন তিনি। তাঁর হয়ে কৃষ্ণনগরে কেন্দ্র ও রাজ্যের হেভি ওয়েট নেতারা প্রচার করেন। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি।
আরও পড়ুন: প্রয়াত রামোজি রাও, শোকের ছায়া সংবাদ জগতে
৫৭ হাজার ৭০৫ ভোটে জয়ী হয় তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। সেদিনই নিজের হার স্বীকার করে নিয়েছিলেন অমৃত। দুদিন কাটতে না কাটতেই শুক্রবার সন্ধ্যায় দলের বিরুদ্ধে একের পর এক ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। তাঁর কথায় প্রকাশ্যে আসে দলের গোষ্ঠীরদ্বন্দ্ব। পাশাপাশি প্রচারের জন্য আসা অর্থ নয়ছয় করার অভিযোগ তুলেলেন তিনি।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: