পুরুলিয়া: কুড়মিদের আন্দোলনে রাজনীতি ছাড়ার বিষয়টি পঞ্চায়েতে কোনও প্রভাব পড়বে না। এই মন্তব্যের পরই জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যানকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ আন্দোলনকারীদের। শনিবার বান্দোয়ান বিধানসভার বারি হাসপাতাল মোড়ে বিক্ষোভের মধ্যেই জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান হংসেশ্বর মাহাতোকে রাজনীতি ছেড়ে সমাজ আন্দোলনে যোগ দেওয়ার দাবি করে কুড়মি আন্দোলনের নেতারা।
এক সময় তাঁর হাত ধরে যুবরা এগিয়ে এসেছিল সমাজ আন্দোলনে, অথচ তৃণমূল দলে তাঁকে চেয়ারম্যান করার পরই আন্দোলন থেকে সরে গিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি কুড়মিদের আন্দোলন সম্পর্কে একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। তাই তাঁকে ঘাঘরঘেরা করে বিক্ষোভ দেখাল আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুন: Sukanta Attacked Mamata | ‘মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ব্যর্থ’, তৃণমূলের একযুগে মমতাকে আক্রমণ সুকান্তর
আন্দোলনকারীদের আরও অভিযোগ, কুড়মি আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী যাঁদেরকে নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন তাঁরা কেউই কুড়মিদের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত নন। বরং তাঁরা তৃণমূলের নেতা কর্মী রূপেই পরিচিত। তাই অবিলম্বে যাতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হয় সে বিষয়টিও দাবি করেছে আন্দোলনকারীরা।
উল্লেখ্য, গত বুধবার কুড়মি সমাজের একাংশের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে খবর, একাধিক বিষয়ে কুড়মি নেতাদের সঙ্গে কথা হয় মুখ্যমন্ত্রীর। কুড়মিদের উদ্দেশে মমতা বলেন, সিআরআই রিপোর্ট একাধিকবার কেন্দ্রকে পাঠানো হয়েছে। আপনারা সেটি বোঝান নেতা কর্মীদের। আমাদের পাশাপাশি ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড সরকারও রিপোর্ট পাঠিয়েছিল। তাদের রিপোর্ট খারিজ করে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রকে আমরা তিন থেকে চারবার সিআরআই রিপোর্ট পাঠিয়েছি। তারপরও কেন্দ্রের তরফে কোনও উত্তর আসেনি। রাজ্য সরকারের তরফে সবরকমের চেষ্টা করা হচ্ছে। ৪৫ মিনিটের বৈঠকে কুড়মি সমাজের নেতাদের এমনই আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।