রোগযন্ত্রণার অবসান। বেশ কয়েক দিন অসুস্থ থাকার পর চলে গেলেন অলিম্পিক অধিনায়ক বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার রাত দুটো দশ মিনিটে পি জি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। বদ্রুর বয়স হয়েছিল ৯২। রেখে গেলেন পুত্রবধূ এবং নাতনিকে।
পঞ্চাশের দশকের ফুটবলার ছিলেন বদ্রু। পোষাকী নাম সমর। মোহনবাগানের রাইট ইন হিসেবেই তাঁর সুখ্যাতি। বালি থেকে উঠে এসেছিলেন তিনি। মোহনবাগানে খেলেন ১৯৫১ থেকে ১৯৫৮। তাঁর আমলেই মোহনবাগান প্রথম ডুরান্ড কাপ (১৯৫১) এবং রোভার্স কাপ (১৯৫৪) জেতে। মোহনবাগানের প্রথম কলকাতা ডাবলও (লিগ ও আই এফ এ শিল্ড) তাঁর আমলে ১৯৫৫ সালে। ১৯৫৭ সালে তিনি ছিলেন মোহনবাগানের অধিনায়ক। তবে মোহনবাগানের থেকেও বদ্রুর বেশি জনপ্রিয়তা ভারতের অলিম্পিক অধিনায়ক হিসেবে। ১৯৫৬ সালে তিনি ছিলেন ভারতের অধিনায়ক। সেবার মেলবোর্ন অলিম্পিকে বদ্রুর নেতৃত্বে ভারত অলিম্পিকে চতুর্থ স্থান পেয়েছিল। সেমিফাইনালে তারা হেরে যায় যুগোস্লাভিয়ার কাছে। ভারত মোট চারবার অলিম্পিক ফুটবলে খেলেছে। সেরা ফল বদ্রুর নেতৃত্বে মেলবোর্নেই। সেবার কোচ ছিলেন প্রবাদপ্রতিম রহিম সাহেব।
ফুটবল ছাড়ার পর কোচিংও করেছিলেন বদ্রু। তাঁর কোচিংয়ে বাংলা সন্তোষ ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয় ১৯৬৩ সালে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে ফুটবল মহাসম্মান দিয়ৈছিল। মোহনবাগান ক্লাব তাঁকে মোহনবাগানরত্ন পুরস্কার দিয়েছিল ২০০৯ সালে। শনিবারই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। ফুটবলার বদ্রু চলে গেলেন। পিছনে পড়ে থাকল তাঁর সুমহান কীর্তিকাহিনী।