পটনা: বিহারের গ্র্যাজুয়েট দিদি। চায়ের দোকান ছেড়ে ফুড ট্রাক নিয়ে বের হয়েছিলেন। অর্থাৎ, আর ছোট দোকান নয়, একেবারে বড় ট্রাকে করেই সকলের কাছে চা, খাবার নিয়ে পৌঁছে দিচ্ছিলেন তিনি৷ কিন্তু, পটনার সেই অর্থনীতিতে স্নাতক প্রিয়াঙ্কা গুপ্তার চায়ের দোকান ভেঙে দিয়েছিল পটনা পুরসভা৷ বুলডোজার দিয়ে রীতিমতো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় দোকান। প্রিয়াঙ্কার অভিযোগ, তাঁকে এ-বিষয়ে আগাম কিছুই জানানো হয়নি।
এই ঘটনার পর দিনই বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের সঙ্গে দেখা করেন প্রিয়াঙ্কা। পুরো বিষয়টা জানান। কথা হয় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের সঙ্গেও। বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন তেজস্বী। প্রিয়াঙ্কার কথায়, তেজস্বীর সঙ্গে কথা বলার পরই সমস্যা দ্রুত মিটে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, স্নাতকের পর চাকরির জন্য বহু চেষ্টা করেন প্রিয়াঙ্কা৷ শেষ পর্যন্ত চাকরি না মেলায়, নিজের ভবিষ্যৎ নিজেই গড়ে নেন প্রিয়াঙ্কা৷ পটনা উইমেন্স কলেজের সামনে খোলেন চায়ের দোকান৷ সেই খবর ও ভিডিয়ো ভাইরাল হয়৷ ধীরে ধীরে নিজের স্বপ্নের পাখা মেলতে শুরু করেন প্রিয়াঙ্কা৷ ছোট চায়ের দোকান ছেড়ে ট্রাকে করে খাবার বেচতে শুরু করেন৷ শুধু চা নয়, যাতে ছিল হরেক রকম মুখরোচক ৷ সেই দোকান ভেঙে দেওয়া নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক।