পাঁশকুড়া: পাঁশকুড়া ধর্ষণকাণ্ডে (Panskura Rapecase) ধৃত জাহিরের বিরুদ্ধে উঠে এল চাঞ্চল্যকর অভিযোগ! হাসপাতালের কর্মীদের মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতনই শুধু নয়। হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজে যোগ দিতে হলে মাথা পিছু দিতে হত সাড়ে তিন লক্ষ থেকে চার লক্ষ টাকা!
উল্লেখ্য, পাঁশকুড়া ধর্ষণকাণ্ডে ইতিমধ্যেই জাহির আব্বাস খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জাহির আব্বাস হাসপাতালের অলিখিত সুপার ছিল। তার গ্রেফতারির পরই ভুরি ভুরি অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। যা রীতিমত ভয়ঙ্কর। গ্রেফতারির পর মুখ খুলেছিলেন হাসপাতালের একাধিক কর্মী। তবে শুধু মহিলা কর্মী নয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন পুরুষ কর্মীরা। মহিলা কর্মীরা অভিযোগ করেছিলেন, যে দিনের পর দিন তাঁদের মানসিক ও শারীরিকভাবে হেনস্তা করত ওই জাহির। এমনকি তার কথাতেই গর্ভধারণের অনুমতি পেতেন হাসপাতালের মহিলা কর্মীরা! তবে শুধু মহিলারা নন। চার পুরুষ কর্মীও তার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তোলেন।
আরও পড়ুন: শিয়রে বিধানসভা নির্বাচন, তার আগেই খুলে গেল মঙ্গলকোট তৃণমূল কার্যালয়ের দরজা
হাসপাতালের এক কর্মী সূত্রে খবর, হাসপাতালে মোট ১৩৩ জন অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। সকলের বস বা কর্তা জাহির প্রথম ৪৫ জন কর্মী বাদে বাকি কর্মীদের থেকে সাড়ে তিন বা চার লক্ষ টাকা নিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, যারা চাকরির জন্য টাকা দিয়েছেন তাদের ওই বিষয়ক জ্ঞান না থাকলেও টাকা দিয়েই তারা কাজ পেয়েছিলেন। কখনও সরাসরি জাহিরের হাতেই টাকা তুলে দিতে হত আবার কখনও জাহিরের পরিচিত কারোর হাতে টাকা দিলেই মিলত চাকরি। এমনকি অভিযোগকারী ব্যক্তি নিজেই সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। সরাসরি জাহিরের হাতে না দিয়ে তার পরিচিত একজনের হাতের টাকা তুলে দিয়েছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে যত দিন গড়াচ্ছে তত ফাঁস হচ্ছে জাহিরের কীর্তিকলাপ। আরও লুকোনো কীর্তি যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সামনে আসবে তা বলাই বাহুল্য।
দেখুন অন্য খবর