হুগলি: নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই ভোট পরবর্তী হিংসার (Post-poll violence) ছবি উঠে আসছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। তৃণমূলের (Trinamool ) হাতে আক্রান্ত তৃণমূল (TMC Inner Clash)! তৃণমূলের দুই নেতার মধ্যে গন্ডোগোল। বন্দুকের বাট দিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। আহতরা ভর্তি উত্তরপাড়া হাসপাতালে (Uttarpara Hospital)। ঘটনাটি ঘটে হুগলির কোন্নগরে। স্থানীয় সূত্রে খবর,নির্বাচনে জয়লাভের পর তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ উন্মাদনা চলতে থাকে। বুধবার রাতে কোন্নগর (Konnagar) পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টার পারায় একটি ক্লাবে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হয় তৃণমূলের তরফে। সেখানেই দুই তৃণমূল কর্মী প্লেট আনতে গেলে তাদের সঙ্গে রাস্তায় বচসা বাধে অন্য তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে। ধাক্কা মেরে স্কুটি থেকে ফেলে দিয়ে বন্দুকের বাট দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
কোন্নগরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ চক্রবর্তীর (Trinamool councilor Vishwarup Chakraborty) বিরুদ্ধে অভিযোগ। অভিযোগ অস্বীকার করে কাউন্সিলের বলেন,বহিরাগতরা তান্ডব করেছে তার প্রতিরোধ করেছে এলাকাবাসী। আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূল নেতা দিব্যেন্দু ভট্টাচার্যের (Trinamool leader Divyandu Bhattacharya) অনুগামী দুই জন। দিব্যেন্দুর সঙ্গে বিশ্বরূপের দ্বন্দ্ব পুরনো। দিব্যেন্দু বলেন,ভাস্কর সাহা ও ঋক দাস দুই তৃণমূল কর্মী পাতা আনতে যাচ্ছিল রাস্তায় তাদের বেধরক মারধর করা হয়। তাদের স্কুটিতে আগুন দেয়। কাউন্সিলের সঙ্গে লোক নেই।এর আগেও এমন করেছে। আমি দলকে জানিয়েছি।
আরও পড়ুন: হেরে যাওয়া আমার অপরাধ হলে, আমাকে জেলে পুরুন, মন্তব্য হিরণের
কাউন্সিলর বিশ্বরূপ চক্রবর্তীর দাবি, রাত বারোটার সময় কয়েকজন যুবক জোরে বাইক চালিয়ে যাচ্ছিল। পাড়ার লোকরা প্রতিবাদ করায় তাদের মারধর করা হয়। আমি পরে খবর পেয়ে গিয়ে দেখি বহিরাগতদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে এলাকাবাসী। পাড়ার কয়েকজনও আহত হয় ঘটনায়।এখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও বিষয় নেই,কেউ খারাপ কাজ করলে তাদের রাজনৈতিক দলে না জরানোই ভালো।
অন্য খবর দেখুন