ভাঙড়: এখন উন্নয়নের বদলে নওশাদদের পিঠের চামড়া তুলে নিতে হবে। উন্নয়ন দিয়ে ভাঙড়ে কাজ হবে না। সোমবার এমনই হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের। এদিন ভাঙ্গরের ঘটকপুরে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে আরাবুল বলেন, পিঠের চামড়া তুলে নিতে হবে। এখন এরা পরিষেবা বা উন্নয়ন বোঝে না। এরা খেটে বোঝে। এদের খেটে দিয়ে উন্নয়ন বোঝাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এখন থেকে আইএসএফ যেখানে মিছিল করবে, তার দূরে দূরে কাঁচা বাস নিয়ে তৈরি থাকতে হবে। তার এই মন্তব্যের জেরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
আরও পড়ুন: Calcutta HighCourt | কর্ম বিরতিতে যোগ দেওয়ায় শিক্ষক বদলি, স্থগিতাদেশ আদালতের
উল্লেখ্য, গত রবিবার ভাঙড়ের ঘটকপুকুরে আইএসএফ নেতা তথা বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিক মিটিং করেন। সেই মিটিংয়ে তৃণমূল দলের পাশাপাশি বিধায়ক শওকাত মোল্লা সহ ভাঙড়ের একাধিক নেতাকে নিয়ে কুমন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। তাই এদিন ঘটকপুকুরে পাল্টা সভা করে তৃণমূল। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন ভাঙড়ের সমস্ত স্তরের নেতার পাশাপাশি কানিং পূর্বের বিধায়ক শওকাত মোল্লাও। তার উপস্থিতিতে আরাবুলের এই মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জল্পনা।
এদিনই ভাঙড়ে ফুলবাড়িতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। বোমার শব্দে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে দেড় বছরের এক শিশু। রবিবার কেন নওশাদ সিদ্দিকির মিটিং এ গিয়েছিল, এই কারণেই তৃণমূলের বোমাবাজি বলে অভিযোগ আইএসএফের। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূলের। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাস্থলে ভাঙড় থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রবিবার আইএসএফের মিটিংয়ের পর সোমবার তৃণমূলের মিটিং করে একই জায়গায়।
এদিকে মদের প্রলোভন দেখিয়ে মিটিংয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ আইএসএফের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার আইএসের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির। পাল্টা আইএসএফের অভিযোগ মিটিং এ আসার পথে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। রাতভর বাইক মিছিল এবং বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে সরগরম ভাঙ্গড়ের রাজনীতি।