কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: প্রার্থী বদলের দাবিতে কোথাও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ৷ কোথাও প্রার্থী হতে না পেরে দলত্যাগ৷ আবার কোথাও মন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ। শুক্রবার রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার প্রার্থিতালিকা প্রকাশের পরই তৃণমূল কর্মীদের বিদ্রোহের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিটি জেলায়৷
তৃণমূলের ‘প্রথম’ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন বর্ধমান পুরসভার ২, ৪, ১১, ১৪, ১৯, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। অভিযোগ, জেলা সভাপতিদের কাছে নতুন প্রার্থী তালিকা পাঠানো হলেও নাম বদল হয়নি। এর জেরে বিক্ষোভ চরমে ওঠে। ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী রুবি মুখোপাধ্যায়, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী শেখ নুরুল আলম, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী পরেশচন্দ্র সরকার, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী রাসবিহারী হালদার, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী শাহাবুদ্দিন খানও ৩০ নম্বরের রত্না রায়কে নিয়ে ক্ষোভ দানা বাঁধে। ১৯ এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা।
তারকেশ্বর পুরসভার ১৫ টি আসনের মধ্যে একটিতেও সংখ্যালঘু প্রার্থী না থাকায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। তারকেশ্বর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডটিতে মূলত সংখ্যালঘু মানুষদের বসবাস। ওই ওয়ার্ডটিতে এতদিন সংখ্যালঘু প্রার্থী দেওয়া হত। এবারের প্রার্থিতালিকায় ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে সংখ্যালঘু প্রার্থীর নাম না থাকায় পদ্মপুকুর এলাকায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখান। এলাকার অনেক সাধারণ মানুষও সেই বিক্ষোভে যোগ দেন। পাশের এলাকা ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় সাহাপুর এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।
আরও পড়ুন: TMC Candidate List: পুরুলিয়া-তৃণমূলে ক্ষোভ, টিকিট না পেয়ে কংগ্রেস অফিসে গিয়ে যোগদান
দলে স্বচ্ছতা নেই, পুরোনো নেতাদের দাম দেওয়া হয়নি। এই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান তাম্রলিপ্ত পুরসভার আদি তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। তমলুক টাউন যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বনাথ হাজরা বলেন, ২৫ বছর দল করার পরেও তাম্রলিপ্ত পুরসভার ভোটে আমাকে প্রার্থী করেনি দল। তাঁর দাবি, দলকে ভুল বুঝিয়েছে অপর এক গোষ্ঠী। বিধানসভা ভোটের পর বিজেপি থেকে যারা তৃণমূল এসেছে, তাঁদের টিকিট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুরনো নেতা-কর্মীদের একেবারেই গুরুত্ব দেয়নি দল। যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির অনুগামীরা লালদিঘি এলাকায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান।