বোলপুর: বিশ্বভারতী (Visva Bharati University) ও অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) জমি বিতর্ক এবার পৌঁছল থানা পর্যন্ত। শান্তিনিকেতন (Shantiniketan) থানা ও বোলপুরের মহকুমাশাসকের কাছে প্রাণহানীর আশঙ্কায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বভারতীর অভিযোগ, আগামী ৬ মে অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনে বাড়ির সামনে বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ কর্মসূচি রয়েছে। পাশাপাশি দিন কয়েক আগেই অমর্ত্য সেনের জমি প্রসঙ্গ নিয়ে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে শান্তিনিকেতনে একটি মশাল মিছিলের আয়োজন করা হয়। এই ঘটনা থেকে বিশ্বভারতী মহকুমাশাসক ও পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। লিখিত অভিযোগে জানানো হয়েছে, বিশ্বভারতীর উপাচার্য সহ অন্যান্য আধিকারিক এবং কর্মীদের প্রাণহানির সংশয় রয়েছে। যে কোনও সময় আক্রমণের শিকার হতে পারে। পাশাপাশি অমর্ত্য সেনের বাড়ি লাগোয়া বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যমণ্ডিত স্থান রয়েছে। এর মধ্যে রবীন্দ্রভবন, নাট্যঘর ছাতিমতলা, উপাসনা গৃহ, ছাত্রী নিবাসগুলি সুরক্ষিত নয়। তাই আগাম নিরাপত্তা দেওয়া হোক বলে আবেদনও জানানো হয়েছে। বিশ্বভারতীর এই অভিযোগপত্রের কপি দেওয়া হয়েছে জেলাশাসক, জেলার পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার এবং বোলপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিককে।
আরও পড়ুন: ED Raid | Kolkata | পার্থ-ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর ‘ভজা’, ‘কালীঘাটের কাকু’র বাড়িতে সিবিআইয়ের হানা
উল্লেখ্য, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী অভিযোগ তুলেছেন, অমর্ত্য সেন তাঁর শান্তিনিকেতনের বাড়িতে বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তিনবার চিঠি দিয়ে সেই জমি ফেরত চেয়েছে বিশ্বভারতী। বিশ্বভারতীর তরফে ১৯৭১ সালের ভূমি দখলদারি উচ্ছেদ আইনের হুঁশিয়ারির নোটিসও দেওয়া হয়েছে অমর্ত্য সেনকে। ১৫ দিনের মধ্যে জমি খালি করার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্বভারতী। না হলে বলপ্রয়োগ করে জমির দখল নেওয়া হবে বলেও নোটিসে হুঁশিয়ারি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে দিনের পর দিন হেনস্তা করে যাচ্ছেন। একজন ভারতরত্ন, বর্ষীয়ান অর্থনীতিবিদ, নোবেল জয়ী বিশ্ববরেণ্য মানুষকে এভাবে হেনস্তা করার প্রতিবাদে রবিবার পথে নামে শান্তিনিকেতনবাসী।
শান্তিনিকেতনের রতনপল্লি থেকে একটি প্রতিবাদ মশাল মিছিল বের করা হয়। সেই মিছিল পোস্ট অফিস মোড় হয়ে শান্তিনিকেতন আশ্রম প্রাঙ্গণ ছুঁয়ে অমর্ত্য সেনের বাড়ি প্রতীচীতে গিয়ে পৌঁছয়। এই মিছিলের মূল স্লোগান ছিল, অমর্ত্য সেনকে হেনস্তার প্রতিবাদ। মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিলেন শান্তিনিকেতনের বাসিন্দারা। এবার সেই প্রতিবাদে শামিল হতে চলেছে বাঙালি সুশীল সমাজও।