কলকাতা: অফিস টাইমে ঘণ্টা দেড়েকের বৃষ্টিতে ভিজল কলকাতা। শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণের বেশ কয়েকটি জায়গায় কম-বেশি জল জমেছে। বৃষ্টির কারণে শহরের একাধিক ব্যস্ততম জায়গা উল্টোডাঙ্গা,শিয়ালদা, ধর্মতলা, সেন্ট্রাল এভিনিউয়ের মতো এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ বৃষ্টির কারণে ঘর থেকে বের হতে পারেননি।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার সারাদিনই দফায় দফায় কলকাতা, হাওড়া, হুগলি-সহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতেও বৃষ্টি চলবে। কারণ, বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ, সুস্পষ্ট নিম্নচাপ রূপে অন্ধ্র প্রদেশ ও ওড়িশা উপকূলে অবস্থান করছে। এটি ক্রমশ উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিম দিকে এগোবে আগামী দু-তিন দিন।
শহর কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কম বেশি বৃষ্টি হলেও উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, শহরে সকাল এগারটা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ ছিল প্রায় ৭৫ থেকে ৮৫ মিলিমিটার। ইতিমধ্যেই বিশেষ তৎপরতায় জল জমা এলাকাগুলির পাম্প স্টেশন চালু করে জমা জল নামানোর কাজ শুরু হয়েছে। সকালে দীঘার সমুদ্রে অল্পের জন্য রক্ষা পেলন ৬ মৎস্যজীবী। উত্তাল সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে বিপত্তি ঘটে। সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা ওই মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন- লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম দেওয়াকে কেন্দ্র করে নানুরে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ
আবহাওয়া দফতর আগেই সর্তকতা জারি করেছিল। বিশেষ করে সমুদ্র উপকূল এলাকায় ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিল। এ কারণে, মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তা সত্ত্বেও স্থানীয় কিছু মৎস্যজীবী নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে বেরিয়ে যান। পরে মুষলধারে বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হওয়া শুরু হয়। দীঘা সমুদ্র উপকূলে থাকা সিভিল ডিফেন্স এবং নুলিয়ারা দেখতে পান সমুদ্রের ঢেউয়ে একটি নৌকা উল্টে গিয়েছে। তৎক্ষণাৎ তাঁদের উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কয়েকজন মৎস্যজীবী পাথরের ধাক্কা লেগে জখম হয়েছেন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা চলছে।
আরও পড়ুন- Monsoon Diseases: প্যাচপেচে বর্ষায় ৫ রোগ থেকে সজাগ থাকুন
এদিন সকাল থেকে মেঘলা আকাশ ছিল। হালকা মাঝারি বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই। বেলা বাড়তেই দুর্যোগ শুরু হয়। দীঘার সমুদ্রও উত্তাল হয় এই নিম্নচাপের জেরে। ভেঙে পড়ে গার্ডরেল। বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরবঙ্গেও। আগামী কালও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর থেকে দক্ষিণে।