কলকাতা: বুধবার রাজ্যের নবনিযুক্ত রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Dr CV Ananda Bose) শপথ নিয়েছেন। কিন্তু রাজভবনে আয়োজিত সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাননি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) বসার জন্য যে জায়গা বরাদ্দ করা হয়েছিল, তা নিয়ে অসন্তুষ্ট তিনি। বিজেপি (BJP) ছেড়ে যে বিধায়করা তৃণমূলে (TMC) গিয়েছেন, তাঁদের পাশে তাঁকে বসার জায়গা কেন দেওয়া হয়েছে?তাই রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ((Governor’s Oath Ceremony)) যাননি তিনি। টুইট (Tweet) করে সেই ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন শুভেন্দু। সেই পোস্টে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (CM Mamata Banerjee) বিঁধেছেন তিনি।
রাজ্যপালের শপথগ্রহণ নিয়ে আসন বিতর্ক তৈরি করে শুভেন্দুর টুইট বার্তা –
“রাজ্যের রাজ্যপাল হিসেসে শপথ নেওয়ার জন্য ডক্টর সিভি আনন্দ বোসকে আন্তরিক অভিনন্দন।
তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খেয়ালখুশি অনুযায়ী দায়িত্বে থাকা মন্ত্রীদের বসার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।”
Heartiest Congratulations to Dr CV Ananda Bose as he takes oath as the Governor of West Bengal.
The Information & Cultural Affairs Dept; WB Govt has made the arrangements for the oath taking ceremony.
Seating arrangements as per the Minister in Charge @MamataOfficial‘s whim: pic.twitter.com/ovbTMqGsif— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) November 23, 2022
টুইটের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছেন বিজেপি নেতা। সেখানে তিনি বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক বিভাগের অসাংস্কৃতিক পরিচালনা।” ছবিতে তিনটি চেয়ার সাদা ও লাল কালিতে মার্কিং করে দিয়েছেন। সঙ্গে আরও লিখেছেন, বিরোধী দলনেতাকে বসতে দেওয়া হচ্ছে কৃষ্ণা কল্যাণী এবং বিশ্বজিৎ দাসের পাশে। এই দু’জন বিজেপি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়েছিলেন এবং তারপর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। দলত্যাগ বিরোধী আইন (Anti-Defection Law) অনুযায়ী তাঁদের অযোগ্য ঘোষণা করার প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee Live: নেতাজি ইন্ডোরে পাট্টা বিলি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
শুভেন্দু অধিকারীর আসন-বিতর্কের টুইটের প্রতিবাদে শাসকদল তৃণমূলের প্রাথমিক জবাব হল, রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রাজ্যের মুখ্য সচিব। রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। শুভেন্দু নিজেও আসবেন বলে সম্মতি দিয়েছিলেন। কিন্তু বুধবার রাজ্যের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে না এসে, তিনি অনুষ্ঠান শুরুর আগেই টুইট করে বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করেন। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর আসন-বিতর্ক নিয়ে বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠকও করেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্যই তাঁকে অপমান করা হয়েছে। এদিকে, আসবেন বলে জানিয়েও না আসা এবং রাজ্যপালের শপথগ্রহণে অনুপস্থিত থাকার আগেই টুইট করা এবং তারপর আবার সাংবাদিক সম্মেলন, গোটা বিষয়টিকেই যেভাবে মোড় দিতে চাওয়া হয়েছে, তাতে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, শুভেন্দুই অযথা বিষয়টিকে রাজনৈতিক মোচড় দেওয়ার চেষ্টা করছেন, যা একেবারেই অনুচিত।
শুভেন্দু অধিকারীর এই আচরণকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অসৌজন্য প্রকাশ ও মিথ্যাচার হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তাঁর টুইট –
রাজ্যপালের শপথে নেই। টুইটে অসৌজন্য ও মিথ্যাচার শুভেন্দুর। যে সরকার ও দলে ও মন্ত্রী, সাংসদ, অজস্র পদাধিকারী ছিল, তার বিরুদ্ধে কুৎসা, নাটক করছে শুধু নিজেকে cbi, Ed থেকে বাঁচাতে। cbiর fir named চোর, তোলাবাজ, ব্ল্যাকমেলার শুভেন্দু সম্পর্কে সব তথ্য রাজ্যপালকে যথাসময়ে দেওয়া হবে।
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) November 23, 2022