কলকাতা: ফের জটিলতা রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন (Assembly Session) ডাকা নিয়ে। এবারের জটিলতা অধিবেশন শুরুর সময়কে ঘিরে। রাজ্য মন্ত্রিসভা এ ব্যাপারে রাজভবনে যে সুপারিশ পাঠিয়েছে তাতে বেলা দু’টোর পরিবর্তে রাত দু’টোয় অধিবেশন শুরুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। গোল দেখা গিয়েছে তা নিয়েই। রাজ্য সরকারের পাঠানো সূচি উল্লেখ করেই রাজ্যপালের কটাক্ষ, ‘রাত দু’টোয় বিধানসভার অধিবেশন? নজিরবিহীন, ইতিহাসে প্রথম।’
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) বিষয়টি টুইট করে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবারই বিকেলেই তিনি মুখ্যসচিবকে রাজভবনে তলব করেন। এর জন্য তিনি সরকারি আধিকারিকদের গাফিলতিকেও দায়ী করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতেও অনুরোধ জানিয়েছেন রাজ্যপাল।
https://twitter.com/jdhankhar1/status/1496771008111386626?s=20&t=0_PkcHjW_AdlF-FBuxPsFg
এর আগেও বিধানসভার অধিবেশন ডাকা নিয়ে সংঘাতে জড়ায় রাজভবন এবং নবান্ন। রাজ্যপালের যুক্তি ছিল, মন্ত্রিসভার সুপারিশ ছাড়া রাজভবন কখনও অধিবেশন ডাকার বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে না। মুখ্যমন্ত্রীর স্বাক্ষর করা এ সংক্রান্ত সুপারিশপত্র পাঠানো হয়েছিল রাজভবনে। এটি সংবিধানের ১৬৬(৩) ধারার পরিপন্থী বলে রাজ্যপাল সেই ফাইল সরকারের কাছে ফেরত পাঠিয়ে দেন। তা নিয়ে ক্ষোভ গোপন রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবারই তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যপাল সব কাজে বাধা দিচ্ছেন। ফাইল আটকে রাখছেন। পাল্টা দাবি করে রাজ্যপাল জানান, তিনি কোনও ফাইল আটকে রাখেন না।
এই দাবি-পাল্টা দাবির মধ্যেই বৃহস্পতিবার নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে বিধানসভার অধিবেশন ডাকার সময় নিয়ে। সরকারি সূত্রের খবর, ভুলবশত কিংবা টাইপের বিভ্রাটে এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। রাজভবনের প্রশ্ন, প্রশাসনিক কাজের ক্ষেত্রে এ ধরনের ভুল হবে কেন?
এদিন রাজভবনের তরফ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই ঘটনায় রাজ্যপাল অত্যন্ত উদ্বিগ্ন এবং অসন্তুষ্ট। এ ব্যাপারে মুখ্যসচিব দায় এড়াতে পারেন না। কারন তিনিই হলেন রাজ্য মন্ত্রিসভার সচিব। আইনকানুন মেনে চলার দায় মুখ্যসচিবেরই।
রাজভবনের ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর স্বাক্ষর সম্বলিত সুপারিশের ফাইল এসেছিল বিধানসভার অধিবেশন ডাকা নিয়ে। যদিও সংবিধান মুখ্যমন্ত্রীকে সেই অধিকার দেয় না। এই কারনেই রাজ্যপাল ফাইল সরকারকে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।