গুজরাত হাইকোর্টের বিচারপতি জামশেদ পারডিওয়ালাকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। আর এ নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বিচারপতি পারডিওয়ালার থেকে সিনিয়র বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে এ’রকম বিচারপতিরা কেন এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলেন? এই প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতিদের একাংশ। বোম্বে হাইকোর্ট, মেঘালয় হাইকোর্ট, সিকিম হাইকোর্ট, এ রকম বেশ কয়েকটি আদালতের প্রধান বিচারপতিরা কাজের অভিজ্ঞতায় বিচারপতি কারডিওয়ালার থেকে অনেকটাই এগিয়ে। তবু সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে কেন তাঁদের নিয়োগ করা হল না? এই প্রশ্ন উঠেছে।
দেশের বিভিন্ন হাইকোর্টের বিচারপতিরাই সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি হওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন। সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত কলোজিয়াম এই নিয়োগের ব্যাপারে তাঁদের সুপারিশ করে থাকেন। কেন্দ্রের আইন মন্ত্রক এই সুপারিশকেই সিলমোহর দিয়ে থাকে। সুপ্রিমকোর্টে একবার নিয়োগপত্র পেলেই অভিজ্ঞতার দিক থেকে সিনিয়রিটি পেয়ে যান বিচারপতিরা। তাঁদের থেকে দেশের বিভিন্ন হাইকোর্টের বিচারপতিরা বয়েসে অভিজ্ঞতায় সিনিয়র হলেও পেশায় পিছিয়ে পড়েন।
বিচারপতি মহলের বক্তব্য, বিভিন্ন হাইকোর্টে কর্তব্যরত বিচারপতিদের সিনিয়রিটি দেখে সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ করা হোক। গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি জামশেদ পারডিওয়ালাকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। বিচারপতি পারডিওয়ালার চাইতে সিনিয়র হিসেবে বয়সে এগিয়ে বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। সিনিয়র হিসেবে এগিয়ে মেঘালয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সিনিয়র হিসেবে বিচারপতি পারডিওয়ালার থেকে এগিয়ে সিকিম হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার। বিচারপতি পারডিওয়ালা সুপ্রিমকোর্টে নিয়োগ হওয়ার পর এই সমস্ত প্রধান বিচারপতিরা আর কখনও সুপ্রিমকোর্টে যেতে পারবেন না। এমনকি সিনিয়র হিসেবে মান্যতা পাবেন বিচারপতি জে বি পারডিওয়ালা।
বিচারপতিরা সংবিধানকে রক্ষা করতে আদালতে বিচার করে থাকেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে নিজেদের নিয়োগের ক্ষেত্রে বিচারপতিরা কি সুবিচার পান? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে আইনজীবী থেকে বিচারপতি মহলে।