কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: অমরনাথে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির কবলে পড়েছেন এই রাজ্যের অনেক মানুষও। তাঁদের মধ্যে হাওড়ার তিন জনের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। কলকাতার মানিকতলা, লেকটাউন, নাগের বাজার প্রভৃতি এলাকার প্রায় ১০ জন আটকে পড়েছেন অমরনাথে গিয়ে। তবে, তঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছেন পরিবারের লোকজন। উত্তরবঙ্গের ধূপগুড়িরও ৬ জন রয়েছেন ওই আটকে পড়া পুণ্যার্থীদের মধ্যে। তাঁদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা গিয়েছে বলে পরিবারের লোকজন জানিয়েছে। তবে, মৃত ১৬ জনের মধ্যে বাংলার কেউ নেই বলেই প্রশাসন সূত্রের খবর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার টুইটে জানান, বাংলার আটকে পড়া পুণ্যার্থীদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।
শুক্রবার অমরনাথে নিম্ন গুহার কাছে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে পুণ্যার্থীদের অন্তত ২৫টি শিবির ভেসে যায়। মৃত্যু হয় ১৬ জনের। ঘটনার পরেই উদ্ধারকাজে নামে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, আইটিবিপি, বায়ুসেনা এবং স্থানীয় পুলিস। জখম হন অনেকে। তাঁদের হেলিকপ্টারে করে শ্রীনগরে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। জম্মু-কাশ্মীর পুলিস সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত অন্তত ৪০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। শনিবার সকাল থেকেও উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে সব বাহিনী।
৫ জুলাই কলকাতা থেকে অমরনাথের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন বিপুল ঘোষ-সহ ১০ জন। মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ঘটনার পর থেকে তাঁদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পরিবারের সঙ্গে। যদিও শুক্রবার রাতে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে পরিবার। বর্তমানে তাঁরা পেহেলগাঁওর সেনা ক্যাম্পে রয়েছেন। তবে, কিভাবে তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে এই নিয়ে চিন্তায় পরিবার।
সোমবার ধূপগুড়ির ছয় বাসিন্দাও গিয়েছেন অমরনাথে। তাঁরাও ভয়াবহ বিপর্যয়ের কবলে পড়েন বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর ছয় জনই সুস্থ রয়েছে। ধূপগুড়ি পুরসভা ও পুলিশের তরফ থেকে ছয়টি পরিবারের মধ্যে কয়েকটি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং সকলকে ফিরিয়ে আনার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।
অমরনাথ যাত্রায় গিয়ে নিখোঁজ হাওড়ারও তিন মহিলা। সূত্রের খবর, মা, দুই মেয়ে গিয়েছিলেন অমরনাথ যাত্রায়। শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। নিখোঁজরা হলেন, শিলা সিংহ, ঝুমা সিংহ ও প্রীতি সিংহ। তিনজনই হাওড়া কালীবাবুর বাজার এলাকার বাসিন্দা।