দেশদ্রোহের একটি মামলায় দীর্ঘ তিন বছর পর জামিন পেলেন জেএনইউয়ের প্রাক্তনী শারজিল ইমাম। ২০১৯ সালে দিল্লির জামিয়া নগর এলাকায় প্রোরচনামূলক ভাষণ দেওয়ার অভিযোগে শারজিলের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা রুজু করা হয়। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দিল্লি আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক অনুজ আগরওয়াল শুক্রবার শারজিলের জামিন মঞ্জুর করেন। তবে এখনই তিনি জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তিনি জামিন পাননি।
আরও পড়ুন: Narendra Modi-5G: আগামিকাল বহু প্রতীক্ষিত ৫জি-র উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর হাতে
দিল্লি আদালত জানায়, যে ধারায় শারজিলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়, তাতে খুব বেশি হলে তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। অভিযুক্তের ইতিমধ্যেই ৩১ মাস জেলবাস হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগেই দিল্লি হাইকোর্ট নিম্ন আদালতকে শারজিলের জামিনের আবেদনটি খতিয়ে দেখতে বলে। কারণ তিনি ইতিমধ্যেই ৩১ মাস ধরে বন্দি হয়ে রয়েছেন।
গত বছরের অক্টোবর মাসে সাকেট কোর্টে শারজিলের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। আদালত বলে, তাঁর ওই ভাষণ উত্তেজনা ছড়ানো এবং শান্তি ভঙ্গের জন্য যথেষ্ট। ছাড়া পেলে তিনি ফের ওই ধরনের ভাষণ দিতে পারেন। তাই তাঁকে জামিন দেওয়া ঠিক হবে না। হাইকোর্টে তাঁর জামিনের আবেদন ঝুলে থাকায় শারজিল ফের নিম্ন আদালতে আপিল করেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে নাগরিকত্ব সংশোধন বিলের বিরুদ্ধে জামিয়া নগরে বিক্ষোভ চলাকালীন জনতা হিংস্র হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। প্রচুর সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি হয় সেই হিংস্র আন্দোলনের ফলে পুলিশের দাবি, ১৩ ডিসেম্বর ইমামের উত্তেজনাকর ভাষণের পরই ১৫ তারিখে ওই হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে।