মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ শিক্ষা ব্যবসায়ী তাপস মণ্ডলকে ফের তলব ইডির। আগামী ২ নভেম্বর তাপসকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সমস্ত নথি নিয়ে ওইদিন তাঁকে বিধাননগরে সিজিও কমপ্লেক্সে যেতে বলা হয়েছে। এর আগে গত ২০ অক্টোবর তাপসকে সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তলবি নোটিস পেয়ে তিনি হাজিরার জন্য কয়েকদিন সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু ইডি সেই আর্জি খারিজ করে সেদিনই হাজির হতে বলে তাপসকে। তিনি হাজিরাও দেন। দীর্ঘ প্রায় নয় ঘণ্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডির আধিকারিকরা।
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ধৃতদের জেরা করে ইডি তাপসের সন্ধান পান। ইডি সূত্রের খবর, তাপস প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। এই দুর্নীতিতে তাপসেরও ভূমিকা রয়েছে বলে ইডির অভিযোগ। তাপসের মালিকানাধীন একাধিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি থেকে চাকরিপ্রার্থীদের টাকার বিনিময়ে বিএড কিংবা ডিএলএড শংসাপত্র দেওয়া হত। মানিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদেই তাপসের এত বাড়বাড়ন্ত হয়। বারাসত, মহিষবাথান, কলেজ স্ট্রিট-সহ একাধিক জায়গায় তাপসের ট্রেনিং কলেজ বা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে।
আরও পড়ুন: Team India: বিধ্বংসী সূর্যকুমার, বড় রান কোহলির, নেদারল্যান্ডসের টার্গেট ১৮০ রান
কিছুদিন আগে ইডির অফিসাররা বারাসত, মহিষবাথান, কলেজ স্ট্রিট-সহ ছটি জায়গায় প্রায় ১১ ঘণ্টা তল্লাশি চালায়। বারাসতে তাপসের বাড়িতেও অভিযান চলে। তাঁর স্ত্রী এবং ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাপস সেদিন বাড়িতে ছিলেন না। তিনি হরিদ্বারে গিয়েছিলেন। অভিযান চলাকালীনই ইডির অফিসাররা তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। তাঁর ছেলে বিজেশ জানান, হরিদ্বার থেকে ফিরে বাবা তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন। ইডির অফিসাররা সেদিন মানিকের বাড়ি থেকে দুটি মোবাইল নিয়ে যায়। এরই মাঝে একদিন মানিক এবং তাপসকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি।