Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeখেলাFIFA World Cup: ফুটবল বিশ্বকাপে মাত্র একবার খেলার পর, আর সুযোগ পায়নি...

FIFA World Cup: ফুটবল বিশ্বকাপে মাত্র একবার খেলার পর, আর সুযোগ পায়নি যে সব দেশ

Follow Us :

আর মাত্র ক’টা দিন পর কাতারে শুরু হতে চলেছে ফিফা বিশ্বকাপ। ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ নিয়ে উন্মাদনায় মেতেছে বিশ্ব। দুনিয়ার সেরা ৩২টি দেশ বিশ্বকাপ জয়ের লড়াইয়ে নামছে। বিশ্বের ২০৪টি দেশ বিশ্বকাপের মূলপর্বে ওঠার লড়াইয়ে খেলে। সেখান থেকে মহাদেশভিত্তিক যোগ্যতাঅর্জন পর্ব থেকে ৩২টি দেশ খেলে মূলপর্বে। সেটা তো আর মুখের কথা নয়। বিশ্বকাপ মানেই কিন্তু শুধু ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা কিংবা ফ্রান্স, জার্মানি নয়। বিশ্বকাপ মানেই অনেক এমন দেশের স্বপ্নপূরণ, যাদের লক্ষ্য হল বিশ্বকাপের মূলপর্বে ওঠা।  

আসুন দেখে নেওয়া যাক বিশ্বকাপের মূলপর্বে মাত্র একবারই খেলার সুযোগ পাওয়া দেশগুলিকে নিয়ে

১) ইজরায়েল: এশিয়া থেকে ফিফা বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলা মানেই সৌদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানের মত দেশরা। 
কিন্তু এখন ফিফা ক্রম তালিকায় ১৫০-এর উপরে থাকা দেশ ইন্দোনেশিয়াও একবার বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলেছিল। হ্যাঁ, 
অবাক করা হলেও সত্যি ১৯৩৮ ফ্রান্স বিশ্বকাপে খেলেছিল ইন্দোনেশিয়া। তবে তখন তাদের নাম ছিল ‘ডাচ ইস্ট ইন্ডিজ’। 
প্রথম রাউন্ডে শক্তিশালী হাঙ্গেরির কাছে ৬-০ গোলে হেরে গিয়েছিল ইন্দোনেশিয়ানরা। বিশ্বকাপে সেটাই একমাত্র ম্যাচ 
খেলেছিলেন ইন্দোনেশিয়ানরা। 

আরও পড়ুন-Champions League: রিয়ালের পাঁচ গোল, অ্যান্সেলোত্তির রেকর্ড, দেখে নিন কারা গেল শেষ ষোলোয় 

২) টোগো: আফ্রিকার ছোট্ট গরীব দেশ টোগো ২০০৬ বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলেছিল। টোগোর বিশ্বকাপের খেলা রূপকথার 
মত। দেশে না আছে বড় কোনও স্টেডিয়াম, না আছে পেশাদার ফুটবল। তবু জার্মানি বিশ্বকাপে খেলেছিল টোগো।  গ্রুপে 
তিনটে খেলাতেই হেরে বিদায় নিয়েছিল আফ্রিকার এই দেশ। সেই প্রথম, সেই শেষ।

৩) পানামা: উত্তর আমেরিকার দেশ মাত্র একবারই বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলেছিল। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে প্রথমবার 
মূলপর্বে খেলে উত্তর আমেরিকার এই দেশ। 

৪) কুয়েত: সাদ্দাম হোসেনের দেশও একবার বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলেছিল। সেটা ছিল ১৯৮২ ইতালি বিশ্বকাপে। সেই 
বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড, ফ্রান্সের কাছে হারলেও চেকস্লোভাকিয়াকে রুখে দিয়েছিল কুয়েত।

৫) হাইতি: কলকাতা ময়দান কাঁপানো তারকা সোনি নর্দের দেশ হাইতিও একবার বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলেছিল। সেটা ছিল 
১৯৭৪ পশ্চিম জার্মানি বিশ্বকাপ। সেবার আর্জেন্টিনা, পোল্যান্ড ও ইতালির কাছে মোট ১৪টা গোল খেয়ে শুরুতেই বিদায় 
নিয়েছিল হাইতি। এরপর আর কখনও বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার সুযোগ পায়নি কনকাকাফ ফেডারেশনের আওতায় থাকা 
হাইতি।

৬) আইসল্যান্ড: মাত্র সাড়ে ৩ লক্ষ জনসংখ্যার দেশ আইসল্যান্ডও বিশ্বকাপে খেলেছে। হ্যাঁ, বিশ্বকাপে খেলা সবচেয়ে কম 
জনসংখ্যার দেশ। শুধু অংশগ্রহণই নয়, আইসল্যান্ডের ফুটবল মুগ্ধও করেছিল। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে ইউরোপ থেকে 
শত্তিশালী দেশদের হারিয়ে মূলপর্বে খেলেছিল আইসল্যান্ড। আর বিশ্বকাপের মূলপর্বে তাদের প্রথম ম্যাচে মেসির 
আর্জেন্টিনাকে রুখে দিয়ে গোটা দুনিয়াকে চমকে দিয়েছিল। তবে মেসিদের বিরুদ্ধে দারুণ খেলে ড্র করার পর, নাইজেরিয়া ও 
ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল আইসল্যান্ড। 

৭) চিন: হ্যাঁ, চিনও ফুটবল বিশ্বকাপ খেলেছে। তবে একবারই। তারপর থেকে তারা আর অবশ্য ফুটবল বিশ্বকাপের 
মূলপর্বের ধারেকাছে যেতে পারেনি। ২০০২ বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা পেয়েছিল ড্রাগনের দেশ। কারণটি ছিল 
সেবার বিশ্বকাপে আয়োজক হিসেবে খেলেছিল এশিয়ার দুই দেশ-জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। ফলে এএফসি থেকে নতুন 
দেশেদের মূলপর্বে খেলার সুযোগ এসে গিয়েছিল। সেই সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্নপূরণ 
করেছিল জনসংখ্যায় দুনিয়ার বৃহত্তম দেশ। তবে ২০০২ বিশ্বকাপে গ্রুপের তিনটি ম্যাচেই হারে চিন। সেবারের চ্যাম্পিয়ন 
ব্রাজিলের কাছে চিন হেরেছিল ০-৪ গোলে। 

৮) জামাইকা: উসেইন বোল্টের দেশ জামাইকা একবারই বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলেছিল। ১৯৯৮ ফ্রান্স বিশ্বকাপে উত্তর 
আমেরিকা থেকে মূলপর্বে খেলার যোগ্যতাঅর্জন করেছিল। জাপানকে হারিয়ে বিশ্বকাপে তাদের প্রথম জয়ও পেয়েছিল। তবে 
আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে গ্রুপ থেকেই বিদায় নিয়েছিল জামাইকা।

৯) কিউবা: উত্তর আমেরিকার লাল পতাকার দেশও একবার বিশ্বকাপে খেলেছিল। সেটা ছিল ১৯৩৮ ফ্রান্স বিশ্বকাপ। শুধু 
খেলাই নয়, কিউবা কোয়ার্টার ফাইনালেও উঠেছিল।  তারপর থেকে ফিদেল কাস্ত্রোর দেশ আর কখনও বিশ্বকাপে খেলেনি।

১০) অ্যাঙ্গোলা: আফ্রিকার গরীব এই দেশ ২০০৬ জার্মানিতে আয়োজিত বিশ্বকাপে প্রথমবার খেলার যোগ্যতা অর্জন 
করেছিল। মেক্সিকো ও ইরানকে রুখে দিয়েছিল, রোনাল্ডোর পর্তুগালের বিরুদ্ধে দারুণ লড়াই করে হেরেছিল অ্যাঙ্গোলা। 
তবে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয়  তারা।  আর কখনও বিশ্বকাপে খেলার ধারেকাছে আসতে পারেনি তারা।

(এ ছাড়াও ইউএই, ত্রিনিদাদ টোবাগো, বোসনিয়া-হার্জেগোভিনা, ইউক্রেন, স্লোভাকিয়া, কাতার- একবার করে বিশ্বকাপে 
খেলেছে।)

RELATED ARTICLES

Most Popular