Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeকলকাতাMamata-Modi: গোবিন্দভোগ চালের উপর থেকে শুল্ক ছাড়ের দাবি মমতার

Mamata-Modi: গোবিন্দভোগ চালের উপর থেকে শুল্ক ছাড়ের দাবি মমতার

Follow Us :

কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে গোবিন্দভোগ চালের বহিঃশুল্ক ছাড়ের আর্জি জানালেন মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। বুধবার এক চিঠিতে তিনি লিখেছেন, দেশের যে কোনও পুজোয় প্রসাদ বা ভোগ রান্না করতে এই সুগন্ধী চাল প্রয়োজন হয়। এছাড়াও ইউরোপ এবং অন্যান্য উপসাগরীয় দেশে এই সুগন্ধী চালের প্রচুর চাহিদা আছে। তাই চাষিভাইদের স্বার্থে ও চাল রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীদের সুবিধায় গোবিন্দভোগ চালের উপর থেকে ২০ শতাংশ হারে যে বহিঃশুল্ক নেওয়া হয়, তা রদ করার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

চিঠিতে মমতা লিখেছেন, খাঁটি গোবিন্দভোগ পশ্চিমবঙ্গের হাতে গোনা কয়েকটি জেলায় উৎপাদন হয়। এছাড়াও ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর এই সুগন্ধী চাল জিআই সার্টিফিকেট পেয়েছে। কিন্তু, এই চাল ন্যূনতম দামের চেয়ে বহুমূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য হন ব্যবসায়ীরা। ২০১১ সাল থেকে আমাদের সরকার কৃষকের আয় বাড়ানোর চেষ্টা করে আসছে। তাই আমরা আরও বেশি করে গোবিন্দভোগ চাল উৎপাদনের উপর জোর দিয়েছি। আগের তুলনায় আরও বেশি কৃষিজমিতে এই চাল হচ্ছে, যুক্তি দিয়েছেন মমতা।

আরও পড়ুন: Weather Update: নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে কি বঙ্গে আসবে শীত? কী বলছেন আবহাওয়াবিদরা, জানুন

তিনি আরও লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীকে, আমরা শুধু গোবিন্দভোগ চালের উৎপাদন বৃদ্ধিতে জোর দিয়েছি তাই নয়, এই চাল যাতে বিদেশে রফতানি হয়, তারও চেষ্টা করে চলেছি। বর্তমানে উপসাগরীয় এলাকা যেমন আরব, ওমান, কাতার, বাহরিন, কুয়েতে আরও রফতানির চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা হচ্ছে চলতি বছরের ৮ সেপ্টেম্বর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার এই চাল রফতানিতে ২০ শতাংশ বহিঃশুল্ক চাপিয়ে দিয়েছে।

এরপরেই শাণিত ভাষায় মমতা কেন্দ্রের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে লিখেছেন, এর ফলে আমাদের কয়েক বছরের লাগাতার প্রয়াসের পরেও এই চাষ মার খাচ্ছে। সরকারের এই নীতির ফলে কৃষকের রোজগার মার খাচ্ছে। চাহিদা ও উৎপাদনের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। যে কারণে গোবিন্দভোগ চালের উপর চাপানো রফতানি শুল্ক যদি মকুব করা যায় তাহলে তা প্রশংসার দাবি রাখে। 

মমতার অকাট্য যুক্তি, বাসমতীতে যদি সরকার ২০ শতাংশ বহিঃশুল্ক তুলে দিতে পারে, তাহলে গোবিন্দভোগ কেন নয়। বাসমতী চাল রফতানিতে শুল্ক ছাড়ের প্রশংসা করে মমতা লিখেছেন, একইভাবে যেন গোবিন্দভোগ চালের ক্ষেত্রেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কারণ এই নীতির ফলে রাজ্যের চাল ব্যবসা এবং কৃষকরা মার খাচ্ছেন। সব শেষে মমতা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়ে লিখেছেন, আমি আপনার কাছে অনুরোধ করছি গোবিন্দভোগ চালের উপর থেকে ২০ শতাংশ বহিঃশুল্ক তুলে নেওয়ার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন। 

RELATED ARTICLES

Most Popular