নয়া দিল্লি: দেখা যাচ্ছে হাসপাতালের বেডে অপারেশন টেবিলের (Operation Table) পোশাক পড়ে এখনও শুয়ে আছেন তিনি। একদিন আগেই কিডনি (Kidney) প্রতিস্থাপন (Transplant) হয়েছে। বয়স ৭৪। অসুস্থতায় বিচলিত না হয়ে ভিডিও বার্তায় মঙ্গলবার সেখান থেকে ভক্তদের (Supporter) বললেন, ‘আপনারা প্রার্থনা করেছেন। আমি ভালো অনুভব করছি’। বক্তা ভারতীয় রাজনীতিতে (Indian Politics) অন্যতম রঙিন চরিত্র লালুপ্রসাদ যাদব। অদম্য মনের জোরের অধিকারী। নানা উত্থান, পতন, জেল যাত্রা তাঁকে টলাতে পারেনি। উল্লেখ্যযোগ্য ভাবে এদিনই ছিল বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন। যাঁর মূল কাণ্ডারি বলা হয় লালকৃষ্ণ আদবানিকে। বিজেপির উত্থানের সেই আদবাণীর রথযাত্রা একসময় বিহারে রুখে দিয়েছিলেন লালুপ্রসাদ। এখনও তিনি মনের দিক থেকে সেরকমই তেজিয়ান। দুই ছেলের নামও রেখেছিলেন তেজপ্রতাপ ও তেজস্বী। তাই যেন ফের বুঝিয়ে দিলেন। শোনা গিয়েছে, অপারেশন পরপরই হাতও নেড়েছেন তিনি।
সিঙ্গাপুরের (Singapore) হাসপাতালে সোমবারই তাঁর মেয়ে রোহিণী আচার্য্য কিডনি দিয়েছেন বাবাকে। এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) লালুপ্রসাদের বড় মেয়ে মিসা ভারতী (Misa Bharati) জানিয়েছিলেন, বাবা হাত নেড়েছে। বাবা ও বোন দুজনেই সুস্থ আছে।
আরও পড়ুন: Babri Masjid demolition day: বাবরি ভাঙার কালা দিবস, বেঁচে থাকলে জ্যোতিবাবু আজও বিজেপিকে অসভ্যই বলতেন
বয়সের ভারে শরীর কতটা ধকল নিতে পারবে তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন লালুপ্রসাদ যাদবের অগণিত সমর্থকরা। তাঁর দল আরজেডির হাজারে হাজারে সমর্থক মন্দিরে, মসজিদে আরোগ্য কামনা করে প্রার্থনা করেছেন। এদিন লালুপ্রসাদের সেই ভিডিও বার্তা তাই ভাইরাল হয়েছে চোখের পলকে।
দীর্ঘদিন ধরে কিডনির (Kidney) অসুখে ভুগছিলেন। ডায়ালিসিস (Dialysis) চলছিল। সিঙ্গাপুরে থাকা তাঁর মেয়ে রোহিণী বাবাকে শুশ্রুষার (Treatment) জন্য সেখানে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা (Doctor) পরামর্শ দিয়েছিলেন, কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। নিকটাত্মীয় কিডনি দিলে তা ভালো হতে পারে। তাই তাঁর মেয়েই কিডনি দিতে এগিয়ে আসেন। লালুপ্রসাদ মেয়ের একটি কিডনি নিতে চাননি। কিন্তু, মেয়ের আবেগপূর্ণ শাসানিতে স্নেহের কাছ হার মেনে শেষে নিতে রাজি হয়েছিলেন। সিঙ্গাপুরে তাঁর সঙ্গে আছেন বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব (Tejaswi Yadav), বড় মেয়ে সাংসদ মিসা ভারতীও (Misa Bharati)।